• সামশেরগঞ্জে মুখ্যমন্ত্রীর সভা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মঞ্চ তৈরি
    বর্তমান | ০৭ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: সামশেরগঞ্জের উপদ্রুত এলাকায় যাওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো মঙ্গলবার দুপুরে তিনি সামশেরগঞ্জে যান। সেখানে বিডিও অফিস লাগোয়া মাঠে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের হাতে ক্ষতিপূরণ তুলে দেন। এজন্য সোমবার সন্ধ্যা থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। এদিন সকালে বৃষ্টিতে ওই এলাকা জলে থৈথৈ হয়ে পড়ে। তবে মুখ্যমন্ত্রী আসার আগেই সভাস্থলে যাওয়ার রাস্তা চলাচলযোগ্য করে তোলা হয়।

    ওয়াকফ সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে সম্প্রতি সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদ উত্তাল হয়ে উঠেছিল। সেসময় দুষ্কৃতীদের হাতে বাড়িতেই হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাস খুন হন। মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু ওই পরিবারের সদস্যরা এলাকা ছেড়ে কলকাতায় আশ্রয় নেন। মুখ্যমন্ত্রী এলাকার বাকি ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করার কথা জানান। সোমবার সন্ধ্যায় ঠিক হয়, মুখ্যমন্ত্রী সামশেরগঞ্জ বিডিও অফিস মাঠে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলবেন। এজন্য ওইদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে সেই মাঠে মঞ্চ তৈরি শুরু হয়। রাতভর সেই কাজ চলে। তবে এদিন সকাল থেকে মুষলধারায় বৃষ্টি শুরু হয়। বিডিও অফিসের ভিতরের পথ কাদায় পিচ্ছিল হয়ে পড়ে। সেজন্য রাস্তায় ডাস্ট ফেলে তার উপর পাটাতন বিছিয়ে দেওয়া হয়। দুপুর ১২টা নাগাদ সামশেরগঞ্জের কৃষকবাজার মাঠে তৈরি হেলিপ্যাডে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামে। সেখান থেকে প্রায় এক কিমি পথ হেঁটে সভাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী। রাস্তার দু’ধারে বহু তৃণমূল কর্মী দিদিকে একবার নিজের চোখে দেখতে অপেক্ষা করেছিলেন।

    সভাস্থলে সাংসদ খলিলুর রহমান, বিধায়ক আমিরুল ইসলাম, জঙ্গিপুরের এসডিও একাম জে সিং ও বিডিও সুজিতচন্দ্র লোধ সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী দীর্ঘক্ষণ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। তখন সেখানে অন্য কাউকে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। ক্ষতিগ্রস্তদের বিডিও অফিসে বসানো হয়েছিল। আলোচনার পর তাঁদের সভাস্থলে ডেকে নেওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ১লক্ষ ২০হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়। এরপর সূতির ছাপঘাটিতে প্রশাসনিক অনুষ্ঠানে যান মুখ্যমন্ত্রী। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)