• মিনাখাঁয় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আহত পঞ্চায়েত সদস্য, ধৃত বিধায়ক অনুগামী
    বর্তমান | ০৭ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: মিনাখাঁ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত হাড়োয়া দু’নম্বর ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনায় গ্রেপ্তার এক। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম মধুসূদন মণ্ডল। তিনি বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডলের অনুগামী বলেই পরিচিত। সোমবার রাতের এই ঘটনায় এখনও থমথমে গোটা এলাকা। চলছে পুলিসি টহল।

    সোমবার রাতে সোনাপুকুর-শঙ্করপুর পঞ্চায়েতের ঝাড়তলা বাজারে বসেছিলেন হাড়োয়া ২ ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি খালেক মোল্লার অনুগামীরা। তখন অতর্কিতেই বিধায়কের স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলের অনুগামীরা তাঁদের উপর চড়াও হন। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। এতে জখম হয়েছেন পঞ্চায়েতের সদস্য জয়দেব মণ্ডল সহ একাধিক তৃণমূল কর্মী। তাঁদের হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    এরপর নতুন করে তেতে ওঠে গোটা এলাকা। কয়েকমাস আগে হাড়োয়া ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়েছে সিরাজুল ইসলামকে। আগে এই পদে ছিলেন ফরিদ জমাদার। সভাপতি পরিবর্তনের পর থেকেই তপ্ত এলাকা। মাঝেমধ্যেই বোমাবাজি সহ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এলাকা। এনিয়ে হাড়োয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন খালেক মোল্লার অনুগামীরা। তারপরই মধুসূদন মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। এনিয়ে মিনাখাঁর বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডলের স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল বলেন, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আগের কোনও আক্রোশ থেকে ঘটনাটি ঘটেছে।

    অন্যদিকে তৃণমূল নেতা খালেক মোল্লা বলেন, বিধায়কের অনুগামীরা আমাদের কর্মীদের মারধর করেছেন। পঞ্চায়েত সদস্যও আক্রান্ত। আর স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শান্তিরাম মণ্ডল বলেন, আমরা খালেক মোল্লার বিরুদ্ধ গোষ্ঠী। তাই আমাদের বাড়িতে হামলা হল। বাড়ির সর্বস্ব লুট করে পালিয়েছে ওরা। দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই। 

     ভাঙচুরের চিহ্ন। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)