• এ বার হেরিটেজ তালিকায় গ্রামীণ এলাকাও, দেখভাল নিয়ে প্রশ্ন
    এই সময় | ০৭ মে ২০২৫
  • এই সময়, কোচবিহার: কোচবিহার শহর ছাড়িয়ে এবার গ্রামীণ এলাকার প্রাচীন স্থাপত্য, ভবন এবং বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানগুলি হেরিটেজ তালিকায় আসবে। মঙ্গলবার কোচবিহার জেলাশাসকের দপ্তরে হেরিটেজ কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

    যদিও এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ হেরিটেজ তালিকায় থাকা শহরের বিভিন্ন স্থানগুলোর ঠিকঠাক ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি হেরিটেজ তালিকায় থাকা জবরদখল হওয়া দিঘিগুলোও উদ্ধার করতে পারেনি প্রশাসন। তার মধ্যেই নতুন করে হেরিটেজ তালিকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

    মঙ্গলবার জেলাশাসকের দপ্তরে হেরিটেজ কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে কমিটির পেট্রন তথা কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘শুধু কোচবিহার শহর নয়। গোটা জেলাতেই হেরিটেজ এবং রাজ আমলের নানা সম্পত্তি, স্থাপত্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সেগুলোকে হেরিটেজ তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে তুফানগঞ্জে চিলা রায়ের গড়, দিনহাটার গোবরাছড়াতে রাজ আমলের শিব মন্দির, মাথাভাঙ্গার পুরনো লাইব্রেরি–সহ আরও বহু কিছু। এগুলিকে সব তালিকায় নিয়ে আসা হবে।’

    বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, এক মাসের মধ্যে কমিটির সদস্যরা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে থাকা হেরিটেজ স্থানগুলোর তালিকা তৈরি করে পরবর্তী মিটিংয়ে জমা দেবেন। এরপর প্রশাসন তা রাজ্যে অনুমোদনের জন্য পাঠাবে।

    যদিও কোচবিহারে এর আগে শহরের হেরিটেজ তালিকায় থাকা ১৫৪টি স্থানের মধ্যে সাগরদিঘি, বৈরাগীদিঘি সংস্কার, কয়েকটি পুরনো সরকারি দপ্তর, স্কুল, কলেজের আংশিক সংস্কার ছাড়া সে ভাবে এখনও কোনও কাজই হয়নি।

    তার মধ্যে আবার হেরিটেজ তালিকায় থাকা দিঘি জবরদখল হয়েছে। তা পুরোপুরি মুক্ত করতে পারেনি প্রশাসন। এর মধ্যেই গ্রামীণ এলাকাকে অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে হেরিটেজ কমিটি। সেই কাজ কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

  • Link to this news (এই সময়)