আগামী বিধানসভা ভোট-বৈতরণী পেরোতে হিন্দুত্বের পালে হাওয়া তুলতে পর পর বিভিন্ন কর্মসূচি নিতে দেখা যাচ্ছে রাজ্য বিজেপিকে। এই আবহে ফের এক দিকে হিন্দুদের ‘জোট বাঁধা’ এবং অন্য দিকে তাঁরা সরকারে এলে ‘বদল ও বদলা’, দুই-ই নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী! মালদহ, মুর্শিদাবাদের অশান্তিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার বিধাননগরে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের সামনে অবস্থান মঞ্চ থেকে এই বার্তা দিয়েছেন শুভেন্দু। পাল্টা সরব হয়েছে শাসক দলতৃণমূল কংগ্রেসও।
এ দিকে, বিজেপি সূত্রে খবর, ভোটের দিকে তাকিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সংগঠনের নিচুতলার হাল নিয়ে খোঁজখবর করেছেন।
বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে অবস্থান মঞ্চে ছিলেন মুর্শিদাবাদের অশান্তিতে নিহত বাবা-ছেলের পরিবারের সদস্যেরাও। শুভেন্দু বলেছেন, “হিন্দুরা পুলিশ ও মামলাকে ভয় পায় না। ১৪ বছরের রাজত্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হিন্দুরা এই প্রথম প্রত্যাখ্যান করেছেন। হিন্দুদের কেনা যায় না। রাজ্যে হিন্দুরা জোট বেঁধে ২০২৬-এ এই সরকারকে সরান।” এর পরেই তাঁর সংযোজন, “ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে হিসাব নেব। বদল হবে। বদলাও হবে।”
শুভেন্দুর বক্তব্যের পরেই সরব হয়েছে তৃণমূল। দলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য, “সংবিধান অনুযায়ী ভারত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। বিজেপির গঠনতন্ত্রেও সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা বলা আছে। শুভেন্দুর মতো নেতারা ধর্মের ভিত্তিতে সমাজে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছেন।”
বিধাননগরে আজ, বুধবার রাজ্য বিজেপির বিশেষ সাংগঠনিক সভা বসতে চলেছে। সূত্রের খবর, তার আগে এ দিন বিজেপির বিধাননগরের রাজ্য দফতরে দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে এবং সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালবীয় রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে সংগঠনের নিচুতলার অবস্থার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরে মুখ না খোলার বার্তাও দেওয়া হয়েছে বলে দাবি।
সম্প্রতি নানা কারণে চর্চায় থাকা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ দিনের বৈঠকে ছিলেন না। আজকের সাংগঠনিক সভাতেও তাঁকে দেখা যাবে না। দিলীপের ব্যাখ্যা, “আমি দলের পদাধিকারী নই, কোর কমিটির সদস্য। কোর কমিটির বৈঠকে ডাকলে যাই।”