ফের পিছিয়ে গেল ডিএ (মহার্ঘ ভাতা) মামলা। গত ২২ এপ্রিল এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে। তবে, সে দিন মামলাটি শীর্ষ আদালতে ওঠেনি। আজ, বুধবার মামলাটি শীর্ষ আদালতে উঠলেও ফের পিছিয়ে দেওয়া হলো শুনানির তারিখ। পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৪ মে। দুপুর ২টোয় হবে শুনানি।
রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আজ বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চে আর্জি জানিয়ে বলেন, ‘অন্য একটি মামলায় তাঁর উপস্থিতি একান্ত প্রয়োজন। এই কারণে আজ পিছিয়ে দেওয়া হোক ডিএ মামলার শুনানি।’ সিংভি আর্জি জানান, জুলাই মাসে শুনানি করার।
এই আর্জির তীব্র বিরোধিতা করেন মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। ১৬ বার মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, আদালতে জানান তিনি। বারবার রাজ্য এই ভাবেই শুনানি পিছিয়ে সময় নষ্ট করছে বলে অভিযোগ করেন বিকাশ। আগামী সপ্তাহে শুনানির আর্জি জানান তিনি।
বিষয়টি নিয়ে সরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, ‘আবার একটি তারিখ পড়ল। কিন্তু আমরা এখনও বলছি যে, রাজ্য সরকারের এই খেলা শেষ হয়ে এসেছে। মামলার শুনানি হবেই। রাজ্য সরকারের মুখ পুড়বে। পশ্চিমবঙ্গের সরকারী কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, পেনশনারদের জয় হবেই।’
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্য সরকারের কর্মচারিদের একাংশ। ২০২২ সালে কেন্দ্রের সমতুল ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় সুপ্রিম কোর্ট। ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হয়েছিল। সেই শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, রাজ্য সরকারের কর্মচারিদের ডিএ নিয়ে বিস্তারিত শুনানির প্রয়োজন রয়েছে। পরে সময়ের অভাবে মামলার শুনানি হয়নি।