• OBC-র বাতিল সম্প্রদায়কেই নতুন সমীক্ষায় ডাক কী করে? প্রশ্ন হাইকোর্টের
    এই সময় | ০৭ মে ২০২৫
  • এই সময়: ২০১০ সালের পরে রাজ্যের তৈরি ওবিসি তালিকা খারিজ করে হাইকোর্ট নতুন করে সমীক্ষা করে সংরক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল গত বছর মে মাসে। কিন্তু রাজ্যের সেই নতুন সমীক্ষার পদ্ধতিও এ বার হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়ল।

    যে ১১৩টি ওবিসি সম্প্রদায়কে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল হাইকোর্ট, অভিযোগ, নতুন সমীক্ষায় সেই বাতিল সম্প্রদায়গুলি থেকেই ফের আবেদন গ্রহণ করছে অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ কমিশন।

    মঙ্গলবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, কীসের ভিত্তিতে খারিজ তালিকার সম্প্রদায়গুলি থেকেই আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে? কেন কমিশন কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি? নিজেদের ওবিসি বলে দাবি করে, এমন সম্প্রদায় কেন জানতে পারবে না সমীক্ষার কথা?

    আদালতের নির্দেশ, সমীক্ষার জন্য আবেদন আহ্বান করে বিজ্ঞাপন দিতে হবে। সবাই যেন ওই বিজ্ঞাপন সম্পর্কে জানতে পারেন। রাজ্যব্যাপী প্রচারিত এবং স্থানীয় সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিতে হবে রাজ্যকে। বিজ্ঞাপন দেখার পরে নতুন যাঁরা ওবিসি–র জন্যে আবেদন করবেন, তাঁদের সহযোগিতা করতে হবে বিডিও এবং তাঁর অধীনের অফিসারদের।

    এই মামলায় ন্যাশনাল কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস–কেও যুক্ত করেছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার দীর্ঘ শুনানিতে প্রথমে রাজ্য কমিশন তাদের নতুন সমীক্ষা নিয়ে ত্রুটি মানতে না চাইলেও পরে আংশিক ভাবে আদালতের বক্তব্য মেনে নেয়। একই সঙ্গে তারা আবেদন করে, যেহেতু একটা পদ্ধতি শুরু হয়েছে, এখনই যেন হস্তক্ষেপ না করা হয়।

    হাইকোর্ট আপাতত তাদের এই কাজে হস্তক্ষেপ করছে না বলে জানালেও কী পদ্ধতিতে সমীক্ষা করে নতুন ওবিসি তালিকা তৈরি করা হবে, সে ব্যাপারে আগামী দিনে হলফনামা দিয়ে কমিশনকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে। ১৯ জুন হবে পরবর্তী শুনানি।

    অন্য দিকে, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর খারিজ করা ওবিসি তালিকা থেকেই লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করায় এর আগে ডিভিশন বেঞ্চের তোপের মুখে পড়েছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। কী করে মুখ্যসচিবকে এড়িয়ে বিভিন্ন দপ্তর হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে নিয়োগের প্রক্রিয়া চালায়, তা নিয়ে মুখ্যসচিবকে ভার্চুয়ালি এজলাসে হাজির করে তুলোধনা করেছিল ডিভিশন বেঞ্চ।

    যে অফিসাররা মুখ্যসচিবের নির্দেশ এড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপেরও নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এ দিন মুখ্যসচিবের তরফে যাবতীয় প্রশ্নের জবাব দিয়ে হলফনামা জমা দেওয়া হয়। যদিও এ দিন সেই নথি খোলেনি হাইকোর্ট।

    মামলাকারীদের তরফে অভিযোগ করা হয়, লিখিত ভাবে আর নিয়োগ করা হবে না বলে আশ্বাস দেওয়ার পরেও কিছু সরকারি দপ্তর নির্দেশ মানছে না। এ ব্যাপারে তাদের হলফনামা দিয়ে তথ্য পেশের নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

  • Link to this news (এই সময়)