মাধ্যমিকের সময়েও ভালো প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার সুযোগ হয়নি। দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই শুরু হয়েছিল তখন থেকেই। এই দুই বছর চলে নিরলস পরিশ্রম। সাফল্য মিলল হাতেনাতে। ৪৯৫ নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় রাজর্ষি অধিকারী। এ বার লক্ষ্য ডাক্তারি পাশ করার।
হুগলি জেলার আরামবাগ হাই স্কুলের ছাত্র রাজর্ষি। তাঁর কথায়, ‘রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় হব, এটা ভাবতে পারেনি। তবে ভালো ফল করব এটা আশা ছিল। ভবিষ্যতে আমি ডাক্তার হতে চাই। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও গৃহ শিক্ষকরা আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন।’
ছেলের এই সাফল্যে খুশি পরিবারের লোকজন। রাজর্ষীর মা জয়ন্তী ঢালি অধিকারী বলেন, ‘মাধ্যমিকে আশা ছিল এক থেকে দশের মধ্যে থাকবে। কিন্তু কিছু হতে পারেনি। উচ্চমাধ্যমিকে সেই আশা পূরণ হয়েছে আমাদের। বাড়ির সকলেরই ইচ্ছা রয়েছে ও ডাক্তারি নিয়ে পড়াশোনা করুক। ডাক্তার হয়ে সমাজের জন্য কাজ করতে পারবে। এটাই আমাদের স্বপ্ন।’ ডাক্তারি নিয়ে পড়াশোনার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজর্ষিও।
রাজর্ষির বাবা পেশায় শিক্ষক মিহির অধিকারী। বাড়িতে ছেলের পড়াশোনার দিকে নজর রাখতেন মা-বাবাও। আজ ছেলের এই সাফল্যে তাঁরাও গর্বিত। মিহির অধিকারী বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম ছেলে মেধা তালিকায় থাকবে। কিন্তু তৃতীয় হবে ভাবতে পারিনি। পড়াশোনায় আগাগোড়াই ভালো ছেলে। শুধু মাত্র রসায়নে এক নাম্বার কম হয়েছে।’