ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তেই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই আবহে দীর্ঘ কয়েক দশক পর নাগরিকদের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে মহড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার জানানো হয়েছিল, বুধবার দেশব্যাপী মহড়া হবে। সেই মতো আজ সকালেই মালদার বর্ণপরিচয় স্কুলে মক ড্রিলের আয়োজন করা হয়। স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় কী করে যুদ্ধের সময় তারা নিজেদের সুরক্ষিত রাখবেন।
এ দিন মালদার এই বেসরকারি স্কুলে মক ড্রিলের প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এক্স আর্মি অফিসার বিপ্লব ঝা।তাঁর সঙ্গে ছিলেন দমকল বিভাগের কর্মীরা। দেশে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরি হলে কী কী পদক্ষেপ করতে হবে সেই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কী কী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে সেই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের?
যুদ্ধের সময় সাইরেন বাজলে কী করে আত্মরক্ষা করতে হবে, সেই সময় কেউ অফিসে কিংবা বাড়ির বাইরে থাকলে কী পদক্ষেপ করবেন তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সাইরেন বাজলে কী ভাবে সুরক্ষিত জায়গায় চলে যেতে হবে, রাতের বেলা বিমান হামলার আশঙ্কা থাকলে বাড়ির সব আলো বন্ধ করে দেওয়ার মতো একাধিক বিষয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আর এ সমস্ত কিছু হাতে-কলমে শেখানো হয়।
স্কুলের কর্ণধার সৌমেন সরকার বলেন, ‘গোটা দেশে যুদ্ধের প্রস্তুতি চলছে। কেন্দ্রীয় সরকার ৭ই মে অর্থাৎ আজকে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে মক ড্রিল করার। সেই নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে আমরা স্কুলের ছাত্রছাত্রী-সহ অভিভাবকদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দিলাম।’