'স্ট্যান্ডঅফ ওয়েপন' ব্যবহার করেছে ভারতীয় সেনা, এই অস্ত্র কী? জানাচ্ছেন প্রাক্তন সেনা কর্তারা
আজকাল | ০৭ মে ২০২৫
বিভাস ভট্টাচার্য: ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন না করেও এই ধরনের 'অপারেশন' করা সম্ভব। জানাচ্ছেন দেশের প্রাক্তন সেনা কর্তারা।
এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন মেজর জেনারেল অরুণ রায় বলেন, 'যা শুনছি তাতে মনে হচ্ছে ভারত তার দেশের সীমা অতিক্রম না করেই এই অপারেশন চালিয়েছে। সীমান্তের এপার থেকেই জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে সেগুলি ধংস করেছে। যেটাকে বলা হয় 'ইউজ অফ স্ট্যান্ডঅফ উইপন'। সেখানে পাকিস্তানের রেডারে ভারতীয় বিমানের উপস্থিতি ধরা পড়বে না। কারণ ওই দেশের রেডারে তখনই ভারতীয় বিমানের উপস্থিতি ধরা পড়বে যখন তা দেশের সীমান্ত অতিক্রম করে ওই দেশে ঢুকবে। রেডার তখন সিগন্যাল দেবে মিজাইল ছাড়ার জন্য।' পাশাপাশি পাকিস্তানের বিভিন্ন এক্স হ্যান্ডেল (সাবেক টুইটার)-এ যে দাবি করা হচ্ছে তারা ভারতীয় বিমান ধংস করেছে সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এটা এত তাড়াতাড়ি জানা যায় না।'
ভারতের এই ধরনের পদক্ষেপের পর কী হতে পারে? পাকিস্তান কি এবার পুরোপুরি যুদ্ধ শুরু করবে? প্রাক্তন মেজর জেনারেল বলেন, 'পাল্টা তো পাকিস্তান শুরু করেই দিয়েছে। সীমান্তের ওপার থেকে সাধারণ নাগরিকদের উপর গুলি চালাচ্ছে।' এবার কি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরু হতে পারে? প্রাক্তন এই সেনাকর্তা বলেন, 'পাকিস্তান যদি কিছু শুরু করার চেষ্টা করে তবে যুদ্ধ হবে। আর সেটা যদি না হয় তবে এইভাবেই ভারত জঙ্গিঘাঁটি ধংস করতে থাকবে। কারণ আমাদের লক্ষ্য, সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা। মনে রাখতে হবে ভারত কিন্তু যুদ্ধ চায় না।'
এই অপারেশন-এর মূল লক্ষ্যই ছিল পাকিস্তানে ভারতবিরোধী জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালানো। জানাচ্ছেন প্রাক্তন কর্ণেল কুণাল ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, 'লাইন অফ কন্ট্রোল বা এলওসি অতিক্রম না করেই এই অপারেশন হয়েছে বলে আমার মনে হচ্ছে। এক্ষেত্রে ভারতের লক্ষ্য ছিল 'টার্গেটেড টেরোরিস্ট ক্যাম্পস'।' এটাই কি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের সূচনা? প্রাক্তন কর্ণেলের কথায়, 'একটা পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে তৈরি হতে বেশ কিছুটা সময় লাগে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ যুদ্ধের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সেইসময় ভারতীয় সেনাপ্রধান স্যাম মানেকশকে এপ্রিলেই আক্রমণ করতে বলেছিলেন কিন্তু সেনাপ্রধান সেটা করেছিলেন ডিসেম্বর মাসে। কারণ পুরোপুরি 'মিলিটারি হার্ডওয়্যার' নিয়ে যেতে স্বাভাবিকভাবেই সময় লাগার কথা। আর আমাদের লক্ষ্য জঙ্গিঘাঁটি ধংস করা। কোনও দেশ আক্রমণ করা নয়।'
মঙ্গলবার রাতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপের পর পাকিস্তানপন্থী বিভিন্ন এক্স হ্যান্ডেলে নানারকম দাবি করা হচ্ছে। এবিষয়ে প্রাক্তন কর্ণেল বলেন, 'এই ধরনের উত্তেজনার সময় নানা ধরনের গুজব ছড়ায়। ওগুলোও গুজবেরই একটা অঙ্গ।