• উচ্চ মাধ্যমিক: প্রথম রূপায়ণ ডাক্তার হতে চায়, তুষার দ্বিতীয় হওয়ায় আনন্দাশ্রু সবজি বিক্রেতা বাবার
    প্রতিদিন | ০৭ মে ২০২৫
  • অর্ক দে ও বিক্রম রায়: উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে মেধাতালিকায় সম্ভাব্য প্রথম হয়েছে রূপায়ণ পাল। বর্ধমানের বর্ধমান সিএমএস হাই স্কুলের ছাত্র সে। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭। ফল জানার পরেই খুশির আবহ বর্ধমানের বাড়িতে। মেধা তালিকায় সম্ভাব্য দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তুষার দেবনাথ। কোচবিহারের বক্সিরহাট হাই স্কুলের ছাত্র সে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬। তার বাড়িতেও খুশি। বাবা পেশায় সবজি বিক্রেতা ছেলের এই সাফল্যে অত্যন্ত আনন্দিত।

    উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম বর্ধমানের রূপায়ণ পাল। ছোট থেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবি সে। নির্দিষ্ট সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করেছে সে। পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে আশাবাদী ছিল সে। পরীক্ষার ফল জানার পরেই উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে তার মুখে। নিয়ম করে পড়াশোনার কথা বলেছে সে আগামী দিনের পরীক্ষার্থীদের জন্য। বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করবে সে। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে তাঁর।

    উচ্চ মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় সম্ভাব্য দ্বিতীয় তুষার দেবনাথের বাবা অত্যন্ত খুশি। পরিবারের আর্থিক সচ্ছ্বলতা তেমন নেই বলেই খবর। বাবা তপন দেবনাথের সবজির দোকান। সেই সবজি বিক্রি করেই সংসার চালিয়ে আসছেন তিনি। ছেলের সাফল্যে প্রথম দিকে কথা আটকে গিয়েছিল তাঁর। পরে তিনি আনন্দে ভেসে গিয়েছেন। চোখের কোনায় জলও চিকচিক কর?তে দেখা গিয়েছে। ছেলের পড়শোনায় কখনও খামতি রাখতে চাননি তিনি। এছাড়াও স্কুলের শিক্ষকরাও তুষারের পড়াশোনায় অত্যন্ত সাহায্য করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা ধরে তুষার পড়াশোনা করত বলে জানা গিয়েছে। তার এই সাফল্যে বক্সিরহাট হাই স্কুলের শিক্ষকরাও অভিভূত।

    নিজের ফলাফল এদিন টিভিতে প্রথমে জানতে পেরেছিল তুষার। দ্বিতীয় হওয়ার খবরে অত্যন্ত আনন্দিত সে। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলোর প্রতিও সমান আগ্রহী সে। নিয়মিত ক্রিকেট খেলে তুষার। বাড়িতে বাবা-মা, ভাই-বোন আছে। তাদের সকলেই পাশে থেকে বরাবর তুষারকে সাহায্য করেছে বলে খবর। বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়। আগামী দিনে বিজ্ঞানী হতে চায় তুষার।
  • Link to this news (প্রতিদিন)