মাত্র ২৫ মিনিটের ফারাকে অনীশ দাদা এবং অনীক ভাই হলেও দু’জনের পছন্দের তালিকায় রয়েছে ফুটবল খেলা। ভবিষ্যতের লক্ষ্যও এক, চিকিৎসক হতে চান তাঁরা। তবে, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পহেলগাঁও কাণ্ডের জবাবে ‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রসঙ্গে অনীশের সাফ বক্তব্য, “যারা এ ভাবে মানুষ মারে, তাদের পরিণাম এমনই হওয়া উচিত।”
বাঁকুড়ার কালীসেন গ্রামের বাসিন্দা অনীশ-অনীক। মাধ্যমিকে চতুর্থ স্থান পেয়েছিল অনীশ বারুই। ছোট ভাই অনীক ষষ্ঠ স্থানাধিকারী ছিলেন। এ বার আর কোনও নম্বরের ফারাক নেই, কী বলছেন দু’ভাই? “একই নম্বর পাব ভাবিনি। তাই আনন্দ পেয়েছি। আমরা আমাদের এই সাফল্য বাবা- মা, দাদু - ঠাকুমা ও স্কুলের শিক্ষক মহারাজদের উৎসর্গ করতে চাই।”
অনীশ-অনীক পড়াশোনার ক্ষেত্রে একে অপরকে সাহায্য করতেন। প্রতিদিন নিয়ম করে পড়াশোনা করতেই হত, তাই আলাদা করে পরীক্ষা প্রস্তুতির তেমন চাপ ছিল না। তবে, স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি, খেলাধুলায় মন ছিল সমান ভাবে।
অনীশ-অনীকের বাবা প্রলয় বারুই পেশায় স্কুল শিক্ষক। তিনি বলেন, “আমাদের দু’ছেলেই ছোট থেকে মেধাবী। এক ভাই প্রথম হলে অপরজন দ্বিতীয় হত। মাধ্যমিকের পর উচ্চ মাধ্যমিকেও একই ভাবে জায়গা ধরে রাখতে পেরেছে, এটা ভীষণ আনন্দের বিষয়। স্কুলের অবদানেই ওরা ভাল ফল করতে পেরেছে।”