মাধ্যমিকে মেধাতালিকায় না থাকার আফসোস পূরণ উচ্চ মাধ্যমিকে, আরামবাগের রাজর্ষি বললেন, ‘তৃতীয় হব, ভাবিনি’
আনন্দবাজার | ০৭ মে ২০২৫
মাধ্যমিকের র্যাঙ্ক করতে চেয়েছিলেন রাজর্ষি। সেই স্বপ্নপূরণ হল উচ্চ মাধ্যমিকে। ২০২৫-এর ফলাফলে তিনি রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় স্থানে একক ভাবে জায়গা করে নিয়েছেন। আরামবাগ হাই স্কুলের ছাত্র ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চান। সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর নাম ঘোষণা হতেই চোখে জল চলে আসে মা-বাবার। রাজর্ষি বলেন, “তৃতীয় হব, এমনটা ভাবতেই পারিনি।” সে পেয়েছে ৪৯৫ (৯৯ শতাংশ) নম্বর।
পড়াশোনার বিষয়ে রাজর্ষি জানিয়েছেন, ১০ ঘন্টা করে পড়াশোনা করার চেষ্টা করতেন। গৃহশিক্ষকদের পাশাপাশি, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাঁকেও সহযোগিতা করেছেন। তবে, ভাল পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাই ভাল ফল আশা করেছিলেন। ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী? রাজর্ষির ইচ্ছে, তিনি চিকিৎসক হবেন।
আবেগে ভাসছে রাজর্ষির পরিবার। মা জয়ন্তী ডালি বলেন, “ছেলে ডাক্তারি পড়ুক,সমাজের মঙ্গল করুক এটাই চাই। ফল ঘোষণার আগে ভীষণ চিন্তায় ছিলাম। আগের বার মাধ্যমিকের সময় এক থেকে দশের মধ্যে ছেলে থাকবে, এটা আশা করলেও মেধাতালিকা নাম ছিল না। কিন্তু এ বার ছেলে এত ভাল ফল করেছে, যে আনন্দ ধরে রাখতে পারছি না।”
বাবা মিহির অধিকারী পেশায় শিক্ষক। তাঁর কথায়, “এক থেকে দশের মধ্যে থাকবে, এটা আশা করলেও তৃতীয় স্থানাধিকারীর জায়গায় ছেলের নাম থাকবে, ভাবতে পারিনি। আমার দুই ছেলে ডাক্তারি পড়ুক, এটাই চাইব।” তবে, তাঁর এও আক্ষেপ, শুধু মাত্র রসায়নে ছেলে এক নম্বর কম পেয়েছে।
আরামবাগ হাই স্কুল থেকে তৃতীয় স্থানাধিকারীর পাশাপাশি, মেধাতালিকায় পঞ্চম স্থানে প্রান্তিক গঙ্গোপাধ্যায় এবং দশম স্থানে সর্বজিৎ সাহা রয়েছেন। প্রান্তিক ৪৯৩ (৯৮.৬ শতাংশ) নম্বর এবং সর্বজিৎ সাহা ৪৮৮ (৯৭.৬ শতাংশ) নম্বর পেয়েছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিকাশচন্দ্র রায় বলেন, “এটা আমাদের জন্য খুশির খবর। শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রচেষ্টায় এই ফল সম্ভব হয়েছে। ওঁদের মোবাইলের আসক্তি ছিল না। আমার আশা সারা বাংলার মুখ উজ্জ্বল করবে ছেলেরা।”