বাড়ি কাকদ্বীপের প্রত্যন্ত গ্রামে। চারিদিক জলে ঘেরা বললেই চলে। কোনও মতে দিন আনা দিন খাওয়া সংসারে খুশির খবর দিলেন পবিত্র মণ্ডল। উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় নবম হয়েছে পবিত্র। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন তাঁর। কিন্তু এই স্বপ্ন কী ভাবে পূরণ হবে তা জানেন না। কারণ, টাকা কই? পড়বেন কী ভাবে!
পবিত্র সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দির থেকে উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়েছেন। পবিত্রের বাবা নিবারণ মণ্ডলের পানবরজের শ্রমিক। মা সংসার সামলান। একা হাতে কোনও মতে সংসার টানেন নিবারণ।
ডাক্তারি পড়ার প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট ভাল হয়নি তাঁর। ফল ভাল না হলে এক বছর নিজেকে সময় দিতে চান পবিত্র। যাতে পরের বছর আরও প্রস্তুতি নিয়ে নিট দিতে পারেন। কিন্তু সেখানেও দুশ্চিন্তা কুরে কুরে খাচ্ছে পবিত্রকে। তিনি বলেন, ‘‘এখনে ভাল কোনও কোচিং নেই। যে গুলি আছে অনেক টাকা লাগে। কোথা থেকে টাকা পাব, কী ভাবে পড়ব সেটাই ভাবছি!’’
বাড়িতে বাবা-মা এবং দিদি রয়েছেন। দিদি সদ্য নার্সিং পড়া শেষ করেছেন। এখন চাকরির খোঁজে রয়েছেন তিনি। বেশ কিছু স্কলারশিপের সাহায্যে আপাতত এগোচ্ছেন পবিত্র। তাঁর কথায়, ‘‘আমার কোচিং, পরিবার এবং স্কুলের শিক্ষকদের সাহায্য না থাকলে আমি এমন ফল করতে পারতাম না।’’ পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা তাঁর বেশ পছন্দ। অবসর সময়ে বাবার হাতে হাতে কাজ করতে এবং খেলতে বেশি পছন্দ করেন পবিত্র।