অপারেশন সিঁদুরের পর জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় পাক গোলাবর্ষণ! অন্তত ন’জন গ্রামবাসী হত, জানাচ্ছে পিটিআই
আনন্দবাজার | ০৭ মে ২০২৫
জঙ্গিশিবিরে হামলার জবাবে জম্মু ও কাশ্মীরের গ্রামবাসীদের নিশানা করল পাক ফৌজ। বুধবার নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) পাক বাহিনীর ধারাবাহিক গোলাবর্ষণে অন্তত ন’জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে। প্রশাসনিক সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত খবরে দাবি, পাক গোলাগুলিতে জখম হয়েছেন অন্তত ২৭ জন গ্রামবাসী!
পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার ১৫ দিনের মাথায় মঙ্গলবার প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। মঙ্গলবার গভীর রাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাক পঞ্জাব প্রদেশের ন’টি লক্ষ্যবস্তুতে আকাশ হামলা চালিয়েছে বায়ুসেনা। জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ শিবির, লঞ্চিং প্যাডের পাশাপাশি পাক পঞ্জাবে ধ্বংস করা হয়েছে দুই পাক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সদর দফতর— মুরিদকেতে লশকর-এ-ত্যায়বার মাররাজ ত্যায়বা এবং বহাওয়ালপুরে জইশ-এ-মহম্মদের সদর মারকাজ় শুভানআল্লা। পাশাপাশি, পাক পঞ্জাবের শিয়ালকোটে জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল মুজাহিদিনের প্রধান ঘাঁটি মেহমুনা জোয়া রয়েছে এই তালিকায়। সেই অভিযানের পোশাকি নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’।
মঙ্গলবার দুপুরে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফের উপস্থিতিতে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠকে সে দেশের সেনাকে ‘ভারতের হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা’ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও তার আগে বুধবার ভোর থেকেই এলওসিতে ধারাবাহিক গোলাগুলি চালাতে শুরু করেছে পাক ফৌজ। ভারতীয় গ্রামগুলি নিশানা করে ভারী মর্টার এবং কামানের গোলা ছোড়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। রাজৌরি এবং পুঞ্চ এলাকায় পাক গোলাবর্ষণে হতাহতের পাশাপাশি এক ডজনের বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। দেড়শোরও বেশি পরিবার এলাকা ছেড়েছে বলে পিটিআই প্রকাশিত খবরে দাবি। এলওসি লাগোয়া ঢাকি গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ খুরশিদ বলেছেন, ‘‘অন্ধকার কাটার আগেই পাক সেনা ভারী গোলাবর্ষণ শুরু করে। প্রাণ বাঁচাতে আমরা গ্রাম ছেড়ে সরে এসেছি।’’