• কাজ করব বলে না করা অন্যায়, সুদেষ্ণা রায়ের মামলায় পর্যবেক্ষণ হাই কোর্টের বিচারপতির
    আনন্দবাজার | ০৭ মে ২০২৫
  • যুদ্ধের আবহ যেন টলিউডেও! গত বছর থেকে পরিচালক গিল্ড এবং ফেডারেশন দফায় দফায় কাজিয়ায় জড়িয়েছে। জের চলছে এ বছর পর্যন্ত। বিষয়টি জানিয়ে পরিচালক বিদুলা ভট্টাচার্য প্রথম মামলা করেন হাই কোর্টে। মামলার প্রথম শুনানির দিনই হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, পরিচালকদের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না ফেডারেশন। তাঁদের স্বাধীনতায় বাধা দেওয়া যাবে না। বিদুলাকে অনুসরণ করে এর পর সুদেষ্ণা রায়, সুব্রত সেন, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী-সহ আরও ১৫ জন পরিচালক ফেডারেশনের অহেতুক হস্তক্ষেপ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না পাওয়া এবং আরও নানা বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানান উচ্চ আদালতে। খবর, তার পরেও পরিচালক সুদেষ্ণা রায়, কিংশুক দে নতুন ছবির কাজ শুরু করতে গিয়ে বাধা পান।

    যদিও ফেডারেশনের তরফ থেকে এ বার সরাসরি বাধা দেওয়া হয়নি। শুটিং শুরুর নির্দিষ্ট দিনের আগে টেকনিশিয়ানেরা কাজ করবেন না জানিয়ে সরে দাঁড়ান। হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পরেও কী করে টেকনিশিয়ানরা এ ভাবে কাজ থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন! এই প্রশ্ন নিয়ে এর পর সুদেষ্ণা আলাদা করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। মঙ্গলবার তারই শুনানি ছিল। পরিচালক গিল্ডের তরফ থেকে আনন্দবাজার ডট ইনকে পরিচালক ইন্দ্রনীল চৌধুরী বলেছেন, “এ দিন হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ আগের নির্দেশ বহাল রেখেছেন। তাঁর নির্দেশ, সমস্ত পরিচালকদের মামলা একত্রিত করে একটি মামলা হিসাবে দেখা হবে। এই মামলার শুনানি ১৯ মে। এ দিন তিনি বাদী এবং বিবাদী— উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে রায় দেবেন। তার আগে পর্যন্ত পরিচালকদের কাজে হস্তক্ষেপ করবে না ফেডারেশন।”

    এ দিনও ফেডারেশনের পক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানান, ফেডারেশনের তরফ থেকে কাউকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। মিথ্যা অভিযোগ জানাচ্ছেন পরিচালকেরা। সঙ্গে সঙ্গে বিচারপতি পাল্টা প্রশ্ন করেন, কেনই বা তা হলে নির্দিষ্ট কিছু পরিচালক বার বার ফেডারেশনের বিরুদ্ধে আঙুল তুলছেন! তা হলে কি ফেডারেশনের চক্ষুশূল যাঁরা তাঁরাই কোপে পড়ছেন? সুদেষ্ণা রায়ের মামলার প্রেক্ষিতে ফেডারেশনের তরফের আইনজীবীর মত, কে কার সঙ্গে কাজ করবেন বা করবেন না— সেটা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত বিষয়। এই ব্যক্তি স্বাধীনতা সকলের রয়েছে। তিনি জানতে চান, এ বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত? বিচারপতি অবশ্য সেই যুক্তি খণ্ডন করেছেন। জানিয়েছেন, কাজ করা বা না করার স্বাধীনতা অবশ্যই রয়েছে। তবে কাজ করব বলে নির্দিষ্ট দিনের আগে সেই কাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া সমর্থনযোগ্য নয়।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)