• আর কারও সিঁথির সিঁদুর যেন না মোছে, কেন্দ্রকে ধন্যবাদ দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন পহেলগাঁওয়ে নিহত বিতানের স্ত্রী
    আনন্দবাজার | ০৭ মে ২০২৫
  • গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। গত এপ্রিলে জঙ্গিহানায় ২৬ জনের মৃত্যুর ‘বদলা’ হিসাবেই সেনার এই অভিযান, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। সেই আবহে বুধবার দুপরে কেন্দ্রকে ধন্যবাদ জানালেন পহেলগাঁওয়ে নিহত কলকাতার বাসিন্দা বিতান অধিকারীর স্ত্রী সোহিনী। কান্নায় ভেঙে পড়ে বললেন, ‘‘একটাই প্রার্থনা, ভবিষ্যতে যেন আর কারও সিঁদুর না মুছে যায়।’’

    ভারতের প্রত্যাঘাতের খবর শুনে বিতানের স্ত্রী বলেন, ‘‘সরকারের কাছে বিচার চেয়েছিলাম, ভারত সরকার সেইমতো পদক্ষেপ করেছে। ন’টি জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে হাতজোড় করে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি স্বামীহারা হয়েছি, কিন্তু একটাই প্রার্থনা, ভবিষ্যতে যাতে আর কারও সিঁদুর না মুছে যায়। কাউকে যেন চোখের সামনে স্বামীর এমন মর্মান্তিক মৃত্যু দেখতে না হয়। এই জঙ্গিদের প্রতি যেন কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সারা রাত জেগে যে ভাবে গোটা অভিযানের উপর নজরদারি করেছেন, তারও প্রশংসা করেছেন বিতানের স্ত্রী। জানিয়েছেন, মোদী সরকারের প্রতি তাঁর অগাধ আস্থা রয়েছে।

    পহেলগাঁওয়ে নিহত বাংলার তিন বাসিন্দার পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা আগেই করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘোষণামতো মঙ্গলবার কলকাতার দুই নিহতের পরিবারের হাতে ১০ লক্ষ টাকা করে চেক তুলে দিয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং অরূপ বিশ্বাস। বিতানের পরিবারের পাশাপাশি সমীর গুহ এবং মণীশরঞ্জন মিশ্রের পরিবারও আর্থিক সাহায্য পেয়েছে।

    বিতান আমেরিকার ফ্লরিডায় চাকরি করতেন। তাঁর স্ত্রী এবং সাড়ে তিন বছরের পুত্র কলকাতায় থাকেন। তাঁদের নিয়েই কাশ্মীর বেড়াতে গিয়েছিলেন বিতান। কিন্তু গত ২২ এপ্রিল জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি। বিতানের স্ত্রী পাটুলিতে থাকলেও কলকাতারই অন্য এক বাড়িতে থাকেন যুবকের বৃদ্ধ বাবা-মা। বিতানই পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন। সে সব কথা মাথায় রেখেই বিতানের বাবা-মাকে ক্ষতিপূরণের অর্ধেক টাকা দেওয়ার কথা জানানো হয় বলে নবান্ন সূত্রের খবর। শুধু তা-ই নয়, বিতানের মা-বাবাকে মাসে ১০ হাজার টাকা পেনশন দেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)