মাধ্যমিকে দশম স্থান অধিকার করেছিল মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবনের ছাত্র বীরেশ ঘোষ। এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে পঞ্চম হয়েছে সে। ইঞ্জিনিয়ারিং বা যে কোনও টেকনিক্যাল লাইনে যেতে চায় বীরেশ। ৫০০ নম্বরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩। বীরেশ ‘সেল্ফ স্টাডি’-তে বেশি জোর দিয়েছিলেন। মাধ্যমিকের পর উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকাতেও নিজের জায়গা ধরে রাখার পর কী বলছে কৃতী ছাত্র?
মাধ্যমিকে দশম স্থান অধিকার করার পর খুশি না হলেও এ বার নিজের রেজ়াল্ট দেখে খুশি হয়েছে সে। মেদিনীপুর শহরের পালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা বীরেশ বলে, ‘এই নম্বর আশা করেছিলাম। আমি খুশি।’ জয়েন্ট এন্ট্রান্স অ্যাডভান্স দিয়ে আইআইটি-তে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে তার। বীরেশর কথায়, ‘পদার্থবিদ্যা আমার প্রিয় বিষয়। তাই, পদার্থবিদ্যা ও গণিতের সঙ্গে জড়িয়ে আছে, এমন কোনও টেকনিক্যাল লাইনেই যেতে চাই। সেটা ইঞ্জিনিয়ারিং হতে পারে বা অন্য কিছু।’
প্রতিদিন ১০-১২ ঘণ্টা পড়াশোনা করত বলে জানিয়েছে বীরেশ। প্রথম দিকটায় কোনও গৃহশিক্ষক ছাড়াই পড়াশোনা চালিয়ে এসেছে সে। কিন্তু পরীক্ষার আগে রসায়ন, বাংলা ও ইংরেজিতে কিছু সমস্যা হওয়ায় উচ্চ মাধ্যমিকের মাস তিনেক আগে গৃহশিক্ষক রাখে বীরেশ। তিনি বলে, ‘কেমিস্ট্রিতে ছোটখাটো কিছু সমস্যা থাকার কারণে গৃহ শিক্ষকের সাহায্য নিয়েছিলাম। তবে, স্কুলের শিক্ষকদেরও সাহায্য পেয়েছি।’ বীরেশের বাবা গৌতম ঘোষ পূর্ব মেদিনীপুরের একটি স্কুলের শিক্ষক। মা পম্পা ঘোষ গৃহবধূ। ছেলের রেজ়াল্ট দেখার পর কী বলছেন তাঁরা?
বীরেশের বাবা-মা বলেন, ‘ছেলে নিজের মতো করেই পড়াশোনা করেছে। ও যে লাইনে যেতে চাইবে, আমরা তাতেই খুশি।’ ছাত্রকে নিয়ে গর্বিত মেদিনীপুরের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবনের প্রধান শিক্ষক স্বামী দিব্যনিষ্ঠানন্দ মহারাজ। তিনি বলেন, ‘আমরা আপ্লুত। আমাদের প্রতিষ্ঠান এবং নিজের বাবা-মাকে গর্বিত করেছে বীরেশ। মাধ্যমিকেও ও দশম স্থানে ছিল। ওর আরও সাফল্য কামনা করি।’