বিভেদ নয়! শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার বার্তা মমতার! বললেন, ‘অযথা আতঙ্কিত হবেন না’
আনন্দবাজার | ০৭ মে ২০২৫
বিভেদ ভুলে এখন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার সময়! কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পরই এমনই বার্তা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তা-ই নয়, এই সময়ে ‘অযথা আতঙ্কিত’ না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, পরিস্থিতির উপর নজর রাখার জন্য পুলিশ-প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
পহেলগাঁও কাণ্ডের ১৫ দিনের মাথায় পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে আঘাত হানে ভারত। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জায়গায় হামলা চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরই পাকিস্তানও সীমান্তে গোলাবর্ষণের মাত্রা বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন শাহ। তবে সেই বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, সেই সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি মমতা। তবে তিনি বলেন, ‘‘আমরা সবাই দেশের পক্ষে।’’
বর্তমান পরিস্থিতিতে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সকলে একসঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।’’ মমতার পরামর্শ, কোনও খবর বা তথ্য যাচাই না করে বিশ্বাস করা উচিত নয়। একই সঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘বিভ্রান্তিকর বা প্ররোচনামূলক খবর ছড়ানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। এখন দেশকে রক্ষা করার সময়।’’
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানান, পুলিশ, ডিএম, এসপি-সহ থানার আধিকারিকদের সতর্ক করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি বৃদ্ধি করার কথাও বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এই পরিস্থিতি অন্য সব সরকারি দফতরের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলেও জানান মমতা।
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে। সেই আবহেই ভারতের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জরুরি বৈঠক সারেন শাহ। মূলত, যে সব রাজ্য নেপাল এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে, সেই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেই বৈঠক করেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও জম্মু-কাশ্মীর, পঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাত, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী, ডিজি এবং সচিবেরা বৈঠকে ছিলেন। এ ছাড়াও, এই বৈঠকে ছিলেন লাদাখের লেফটেন্যান্ট গভর্নর (উপরাজ্যপাল) সূত্রের খবর, এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের কিছু পরামর্শ এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কী ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব, তা-ও আলোচনা হয় ওই বৈঠকে।