প্রদ্যুত দাস: কোয়েলের বাবা অশোক গোস্বামী হাটে পান সুপারি বিক্রি করেন। এরকম দরিদ্র পরিবারের মেয়ে কোয়েল। জলপাইগুড়ির প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে কোয়েল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সপ্তম স্থান অধিকার করে নিল।
উচ্চ মাধ্যমিকে সপ্তম
চরম দারিদ্র্যকে পিছনে ফেলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সপ্তম স্থান দখল করে নিল জলপাইগুড়ির কচুয়া বোয়ালমারি হাইস্কুলের এই কোয়েল গোস্বামী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯১, স্কুলের ৬৫ বছরের ইতিহাসের কচুয়া বোয়ালমারি হাইস্কুল থেকে এই প্রথম উচ্চ মাধ্যমিকের কোনও পড়ুয়া সেরা দশে স্থান পেল!
সামান্য কৃষিকাজ
খুব স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত কোয়েলের পরিবার। জানা গিয়েছে, কোয়েলের বাবা অশোক গোস্বামী সামান্য জমিতে কৃষিকাজ করেন। এর পাশাপাশি তিনি পান-সুপারি বিক্রি করেন। তিনি এক অতি দরিদ্র মানুষ। অত্যন্ত দরিদ্র তাঁর পরিবারও। আর সেই পরিবারেরই মেয়ে কোয়েল। এই পরিস্থিতিতে সব বিষয়ে গৃহশিক্ষক রাখার মতো সামর্থ্য তাঁর ছিল না। তাই স্কুলের শিক্ষকরাই কোয়েলের জন্য আলাদাভাবে কোচিংয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।
কৃতী কোয়েল
পড়াশোনার পাশাপাশি আবৃত্তি ও গানেও পারদর্শী কৃতী কোয়েল। স্কুলের যে কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয় সে। স্কুল ও বোর্ডের পরীক্ষায় বরাবর তাক-লাগানো সাফল্য পেয়েছে।
জলপাইগুড়ি সদর পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি বিনয় রায় কোয়েল গোস্বামীকে মিষ্টিমুখ করিয়ে ফুলের তোড়া দিয়ে সম্বর্ধনা জানান।