জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পাকিস্তানে ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাত যথেষ্ট গর্বের বলেই মনে করেন এবারের উচ্চ-মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম রূপায়ণ পাল। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭। সে আরও বলেছেন ভবিষ্যতে পাকিস্তান এদেশে হামলা করতে ভয় পাবে। দেশে শান্তি থাকবে। রূপায়ন পাকিস্তানে ভারতীয় সৈন্যবাহিনীর হামলাকে সমর্থন করে বলে এটিকে ভারতের সঠিক পদক্ষেপ বলে মনে করছেন।
উচ্চ-মাধ্যমিকে র্যাঙ্ক আশা করলেও একেবারে প্রথম হবে ভাবতে পারেনি সে। মাধ্যমিকেও সে পঞ্চমস্থান অধিকার করেছিল। রূপায়ণ ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায় । এবারেও জয়েন্ট দিয়েছে। ডাক্তার হলে সরাসরি মানুষের কাছে যাওয়া যায় বলে তাঁর মত। এছাড়াও বিপদে পড়া মুমুর্ষু মানুষকে বাঁচানো যায়।
বর্ধমান সি এম এস হাই স্কুলের ছাত্র রূপায়ণ। পড়াশোনার বাইরে সময় পেলে ক্রিকেট খেলা দেখতে ভালবাসে রূপায়ণ।এছাড়া গল্পের বই পড়তেও তার ভাল লাগে। প্রিয় লেখক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রিয় চরিত্র ব্যোমকেশ।
রূপায়ণের বাবা রবীন্দ্রনাথ পাল পূর্ব বর্ধমানের জৌগ্রাম হাইস্কুলের শিক্ষক, মা জয়শ্রী পাল ভাতারের ভাটাকুল স্বর্ণময়ী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। পড়াশোনার পাশাপাশি সাহিত্যের প্রতি তার অনুরাগ থাকলেও পড়ার চাপে এখন বই পড়ার সময় পায় না বলে জানান মা জয়শ্রী পাল। রূপায়ণদের আদি বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের খেড়ুরগ্রামে। তবে বর্তমানে তাদের বাড়ি বর্ধমান শহরের সুভাষপল্লীর কালীতলায়।
চারজন টিউটর ছিল রূপায়নের। বাংলা ও ইংরেজি বাড়িতেই পড়ত। সারাদিনে গড়ে ১২ ঘন্টা পড়ত রূপায়ন। সায়েন্সের সব সাবজেক্টের পড়াই তার বেশি ভাল লাগত বলেও জানিয়েছে সে। তাঁর সাফল্যের পিছনে বাবা মায়ের অবদান রয়েছে বলে জানায় রূপায়ন।
বর্তমানে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে 'শান্তি চাই' বলল উচ্চমাধ্যমিকে পঞ্চম স্থানাধিকারী ঋদ্ধিত পাল। তিনি বলেন, ভারতবর্ষের উপর যে জঙ্গি আক্রমণ হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এর পাল্টা হিসাবে ভারত সরকার যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সেটা খুবই ভালো এবং যথোপযুক্ত পদক্ষেপ।
সব শেষে এটাই বলব যেন শান্তি বজায় থাকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আজকে প্রকাশিত হওয়া উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে কাটোয়া কাশীরাম দাস বিদ্যায়তনের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ঋদ্ধিত পাল। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩।