সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে গ্রীষ্মের ছুটি পড়ে গিয়েছে এপ্রিলের শেষেই। তবে এখনও বেসরকারি স্কুলগুলি খোলা। সেখানে চলছে ক্লাস। আগামী ৯ মে, রবীন্দ্রজয়ন্তীর পরই বন্ধ করা হোক স্কুল। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে আর্জি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
তিনি বলেন, “লিখিত কোনও গাইডলাইন পাঠাচ্ছি না। এটা আমাদের আবেদন। সরকারি স্কুলগুলোকে ছুটি দিয়ে দিয়েছি। বেসরকারি স্কুলগুলোও যদি ছুটি দিয়ে দেয়। আপনারা আপনাদের ছুটিটা রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিন থেকে করে দিল ভালো হয়। বাচ্চারা বাড়িতে থাকুক।”
উল্লেখ্য, মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে ঠিকই। তা বলে তাপমাত্রা সেভাবে কমছে না। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। ফলে গরমের সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও বাড়ছে। ঘামে যাচ্ছে তাই অবস্থা। বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা ৩-৪ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে। আবার শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলবে বলেই সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূমে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে। শনিবার বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও ঝাড়গ্রামে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। রবিবারও একইরকম অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে। তার ফলে কচিকাঁচারা স্কুল যাতায়াতে বেশ কষ্ট পাচ্ছে। সেকথা মাথায় রেখেই সম্ভবত বেসরকারি স্কুলগুলিকে ছুটি দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে ঠিক একই কারণে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে গত ৩০ এপ্রিল থেকে গ্রীষ্মের ছুটি ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী এখনও বন্ধ স্কুলগুলি। তবে কবে আবার সরকারি স্কুলে পঠনপাঠন শুরু হবে, তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।