• হিলি থেকে হলদিবাড়ি, চর্চায় অপারেশন সিন্দুর
    বর্তমান | ০৮ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা: ভোরবেলা ঘুম ভেঙে চায়ের কাপে ঠোঁট ছোঁয়ানোর আগেই অপ্রত্যাশিত খুশির খবর— পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ন’ জায়গায় জঙ্গিদের ডেরা গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। আকাশ সীমা লঙ্ঘন না করেই দূর নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে। তখন থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশের শুরু। তারপর চলল উৎসব, মিষ্টিমুখ। হিলি থেকে হলদিবাড়ি, চায়ের ঠেক থেকে অফিস কাছারি, বুধবার সকাল থেকে আলোচনার মূল বিষয়, ‘অপারেশন সিন্দুর’। সর্বত্র ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রশংসা। অনেকেই একটা বিষয়ে একমত, পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর মানুষের মনে যে ক্ষোভ তৈরি করেছিল তাতে কিছুটা প্রলেপ দিল এই সেনা অভিযান। এক লহমায় ফিরল স্বস্তি। এই ঘটনার পর পাকিস্তানের পদক্ষেপ কী হবে? দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কে কী মতামত দিচ্ছে তা নিয়েই আলোচনার ঝড় চলল দিনভর। কিছুক্ষণ পরপরই মোবাইল স্ক্রিনে ভেসে আসা অপারেশনের ভিডিওতে চোখ বুলিয়ে নিয়ে একে অপরকে দেখিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন সকলেই। জঙ্গিগোষ্ঠীদের দুর্গ গুঁড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে একমত বিশিষ্টরা। জঙ্গি এবং তাদের মদতদাতাদের সবক শেখানোর ক্ষমতা যে ভারতের রয়েছে,সেই বার্তা দিয়েছে দেশের সেনাবাহিনী। তাদের দুর্জয় অভিযানকে স্যালুট জানাচ্ছে আমজনতা। বুধবার গৌড়বঙ্গের বিভিন্ন শহরে চলল বিজয়োত্সব, মিষ্টিমুখ।

    এয়ার স্ট্রাইকের খুশিতে ফোয়ারা মোড়ে বিজেপির যুব মোর্চা মিষ্টি মুখ করায় পথচলতি মানুষদের। সাধারণ মানুষও বদলা নেওয়ার আনন্দে শামিল হল। মিছিলও হয় অনেকটা অংশ জুড়ে।

    উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে রায়গঞ্জের ঘড়ি মোড় থেকে শহর পরিক্রমা করেন কিছু যুবক। রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অতনু বন্ধু লাহিড়ী বলেন, ভারতবাসী হিসেবে দিনটির বিশেষ গুরুত্ব আছে। জঙ্গিরা শিক্ষা পেয়েছে। অন্যদিকে, হেমতাবাদে বিজেপি জাতীয় পতাকা উড়িয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। দিনভর আলোচনায় ছিল উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং ও কর্নেল সোফিয়া কুরেশির প্রেস ব্রিফিংয়ের প্রসঙ্গও।  

    গৌড়বঙ্গে দলমত নির্বিশেষে সবার এক সুর ছিল, যা পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছিল, তাতে প্রত্যাঘাত অবশ্যই জরুরি ছিল। এই অভিযানে যেমন সাধারণ মানুষের মনোবল বৃদ্ধি পাবে, তেমনই জঙ্গি সংগঠনগুলিরও  কোমর ভাঙবে। সাধারণ মানুষের  স্বার্থে সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপকে সকলেই বাহবা জানিয়েছেন একবাক্যে।

    দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা ডোমকল গার্লস কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক রাজীব সাহার মতে, এই রকম প্রত্যাঘাত অবশ্যই প্রয়োজন। এরপর জঙ্গিরা ভারতের দিকে তাকাতে ভয় পাবে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডঃ পার্থ সারথি রায় বলেন, সিন্দুর অপারেশন দেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের। ভারতবাসী হিসেবে আজ আমরা গর্বিত।
  • Link to this news (বর্তমান)