• গোপালপুরে গঙ্গা ভাঙন রোধের কাজ শুরুর উদ্যোগ, জমির ক্ষতিপূরণের দাবিতে ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ শতাধিক বাসিন্দা
    বর্তমান | ০৮ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: ভূতনির পর মানিকচক। গোপালপুরে গঙ্গা ভাঙন রোধের কাজে জমির ক্ষতিপূরণের দাবিতে ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ শতাধিক গ্রামবাসী। মঙ্গলবার বিকেলে মানিকচকের বিডিও অনুপ চক্রবর্তীর কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি তুলে ধরা হয়। যদিও এখানে ক্ষতিপূরণের কোনও প্রশ্নই নেই বলে জানিয়েছেন মালদহ সেচ দপ্তরের আধিকারিক।

    গোপালপুর এলাকায় গত বছর ব্যাপক গঙ্গা ভাঙন ও বন্যা পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বহু পরিবার। কয়েকশো বিঘা জমি গঙ্গায় বিলীন হয়েছে। 

    সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল গোপালপুরের উত্তর ও দক্ষিণ হুকুমতটোলা, কামালতিপুর এবং ঈশ্বরটোলা গ্রাম। এই এলাকাকে সুরক্ষিত করতে সেচ দপ্তর প্রায় ১৭০০ মিটার এলাকাজুড়ে বাঁধের কাজ করবে। কামালতিপুর থেকে শান্তিমোড় পর্যন্ত বালির বস্তা দিয়ে কাজ হবে। ইতিমধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকায় কাজ শুরুর জন্য তৈরি করা হয়েছে শিবির। সেটা দেখেই অভিযোগ স্থানীয় জমি মালিকদের। তাঁদের অভিযোগ, গঙ্গা ভাঙনের কাজে যে জমি প্রয়োজন, তার সিংহভাগ রায়তি। কিন্তু সেচ বা ভূমি সংস্কার দপ্তর সেই জমির মাপজোখ ও ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলোচনা করেনি। জমির ন্যায্য ক্ষতিপূরণ না পেলে কাজ করতে দেওয়া যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। 

    মঙ্গলবার বিকেলে মানিকচক ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হন প্রায় শতাধিক জমি মালিক। একটি আবেদনপত্র সহ দাবি তুলে দেওয়া হয় বিডিওর হাতে। 

    প্রায় ঘণ্টাখানেক চলে বৈঠক। স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ জামিরুল হক বলেন, ১৭০০ মিটার ভাঙন রোধে যে কাজ হবে, সেখানেই আমাদের বসতবাড়ি এবং চাষবাস। সেই জমি অধিগ্রহণ করলে আমরা যাব কোথায়? গঙ্গার গ্রাসে কয়েকশো বিঘা জমি গিয়েছে। তাই প্রশাসনের কাছে আবেদন, জমির ক্ষতিপূরণ দিয়ে যেন ভাঙন রোধের কাজ করা হয়। নাহলে ভাঙন কবলিত এলাকায় আমরা আমরণ অনশনে বসব।

    মানিকচকের বিডিও অনুপ চক্রবর্তী বলেন, বিষয়টি জেলাশাসককে জানানো হবে। তাঁরাই এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

    যদিও ক্ষতিপূরণের কোনও প্রশ্নই ওঠে না বলে জানান মালদহ সেচ দপ্তরের আধিকারিক। তার দাবি, গোপালপুরের ভাঙন কবলিত ১৭০০ মিটার এলাকায় বালির বস্তা দিয়ে কাজ হবে। সেখানে জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। সম্পূর্ণ নদীর পাড় ধরে কাজ হবে বলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না। জমির দাম চাওয়া অনৈতিক।
  • Link to this news (বর্তমান)