• বিপর্যয়ের মোকাবিলায় প্রস্তুত সিভিল ডিফেন্স, উত্তরকন্যায় চালু কন্ট্রোল রুম
    বর্তমান | ০৮ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: ধস থেকে বন্যা। পথ দুর্ঘটনা থেকে অগ্নিকাণ্ড। উত্তরবঙ্গে এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ যেকোনও ধরনের বিপর্যয়ের মোকাবিলায় প্রস্তুত সিভিল ডিফেন্স। এজন্য রাজ্যের মিনি সচিবালয় ‘উত্তরকন্যায়’ খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। আজ, বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার জেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা নিয়ে প্রস্তুতি মিটিং করা হবে বলে খবর। শুধু তাই নয়, নতুন নতুন ভলান্টিয়ার তৈরি করতে শুরু হয়েছে প্রশিক্ষণ শিবির। ভারতীয় সেনার অপারেশ ‘সিন্দুর’-এর আবহে সিভিল ডিফেন্সের এমন তৎপরতা ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। 

    ফি বছর বর্ষার মরশুমে উত্তরবঙ্গের পাহাড় থেকে সমতল সর্বত্র ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। পাহাড়ে ধসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে রাস্তা। আবার কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি প্রভৃতি জেলায় বন্যা ও নদী ভাঙনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ইতিমধ্যে এবার শিলিগুড়ি সহ বিভিন্ন জেলায় ঝোড়ো হাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু করেছে সিভিল ডিফেন্স। 

    ইতিমধ্যে শিলিগুড়িতে নতুন করে ভলান্টিয়ার তৈরির প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, গত ৫ মে শিবিরের সূচনা করা হয়েছে। আগামী ৯ মে তা শেষ হবে। যুবক ও যুবতী মিলিয়ে শিবিরে অংশ নিয়েছেন ৫০ জন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা, ফায়ার ফাইটিং সহ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড, পথ দুর্ঘটনা কিংবা বিস্ফোরণ কাণ্ডের পর বাসিন্দাদের উদ্ধার এবং প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করানো শিবিরে শেখানো হচ্ছে। বর্তমানে মহকুমার চারটি ব্লকে সক্রিয় সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ারের সংখ্যা ১৮৬। এই প্রশিক্ষণের পর ভলান্টিয়ারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২৩৬ জন। 

    অপারেশন ‘সিন্দুর’-এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিবির নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক অবধ সিংহাল অবশ্য বলেন, এটা সিভিল ডিফেন্সের রুটিন বিষয়। এরসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের মক ড্রিলের কোনও সম্পর্ক নেই। 

    এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে উত্তরকন্যায় কন্ট্রোল রুম চালু করেছে সিভিল ডিফেন্স। যার দায়িত্বে রয়েছেন একজন ডেপুটি সেক্রেটারি। সেটি ২৪ ঘণ্টা চালু রয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, সরকারিভাবে বর্ষার মরশুম শুরু হয় জুন মাসে। তাই তিস্তা, তোর্সা, রায়ডাক, কালজানি সহ অসংখ্য নদী ঘেরা উত্তরবঙ্গে বন্যা ও নদী ভাঙন প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং জেলায় প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছে। আজ আলিপুরদুয়ার জেলায় বৈঠক হবে। সিভিল ডিফেন্সের এক আধিকারিক বলেন, পথ দুর্ঘটনা, অগ্নিকাণ্ড, প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ যেকোনও ধরনের বিপর্যয়ের মোকাবিলায় সিভিল ডিফেন্স প্রস্তুত রয়েছে। হিমঘরে গ্যাস লিকের ঘটনা মোকাবিলা করা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় মক ড্রিল করা হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)