• মেধা তালিকায় জেলার ১, পাশের হার ৯২.৬৩ শতাংশ
    বর্তমান | ০৮ মে ২০২৫
  • অগ্নিভ ভৌমিক, কৃষ্ণনগর: উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফল করল নদীয়া জেলা। জেলাজুড়ে পাশের হার ৯২.৬৩ শতাংশ। ফলের নিরিখে রাজ্যের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে সীমান্তের এই জেলা। তবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় নদীয়া জেলায় ছাত্রীর থেকে ছাত্রদের পাশের হার বেশি। ছাত্রদের পাশের হার ৯৪.৫৯ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাশের হার ৯০.৬২ শতাংশ।‌ তবে সামগ্রিকভাবে মাধ্যমিকের থেকে এই ফল ভালো হয়েছে। এমনটাই মনে করছে শিক্ষক মহল। যদিও রাজ্যের মেধা তালিকায় নদীয়া জেলা মাত্র একজন পরীক্ষার্থীর নাম রয়েছে।‌ চাকদহ রামলাল অ্যাকাডেমির ছাত্র সায়ক বিশ্বাস রাজ্যের মধ্যে নবম স্থান অধিকার করেছে। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৯। চলতি বছর মাধ্যমিকেও নদীয়া জেলা থেকে একজনই মেধা তালিকায় ছিলেন। 

    নদীয়া জেলার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার কনভেনার দিলীপ সিংহ বলেন, পাশের হারে রাজ্যের মধ্যে নদীয়া জেলা প্রথম দশটি জেলার মধ্যে রয়েছে। সামগ্রিকভাবে ফলাফল খুব ভালো হয়েছে।‌ জেলায় ছাত্র ছাত্রীদের পাশের হার ৯০ শতাংশের বেশি রয়েছে। আগামী দিনে ছাত্রছাত্রীরা যাতে আরও ভালো ফলাফল করে সেই দিকেই আমরা নজর রাখব।

    শিক্ষাদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নদীয়া জেলা থেকে মোট ২১ হাজার ৭৯০ জন ছাত্রছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার জন্য নাম তুলেছিলেন। তার মধ্যে পরীক্ষায় বসেছিলেন ২০ হাজার ৩৮ জন ছাত্রী। তার মধ্যে ছাত্র ছিলেন ১০ হাজার ১৭১ জন এবং ছাত্রী ছিলেন ৯ হাজার ৮৬৭ জন। সবমিলিয়ে পাশ করেছেন ১৮ হাজার ৫৬২ জন। পাশ করা ছাত্রের সংখ্যা ৯ হাজার ৬২১ এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৮ হাজার ৯৪১ জন। নদীয়া জেলার ছাত্রীদের তুলনায় ছাত্রদের পাশের হার ৩ শতাংশ বেশি। পাস করা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ৪৮.১৭ শতাংশ এবং ছাত্ররা ৫১.৮৩ শতাংশ। মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও ছাত্রদের থেকে ছাত্রীদের পাশের হার প্রায় ৬ শতাংশ কম ছিল। শিক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, আজ বৃহস্পতিবার থেকে বিভিন্ন স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই পরীক্ষার ফলাফল অনলাইনে দেখতে পারছেন ছাত্রছাত্রীরা। 

    তবে এই বছরই শেষ বার্ষিক প্রক্রিয়ায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হল। এর পর থেকে সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিতে হবে পড়ুয়াদের। তবে অকৃতকার্য পড়ুয়ারা চাইলে নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিতে পারবেন। তার জন্য স্কুল মারফত অনলাইনে নতুন পদ্ধতিতে পড়ার আবেদন জানাতে হবে। ৭ মে রাত থেকেই আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন পড়ুয়ারা।

    নদীয়া জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ কার্তিক মণ্ডল বলেন, আমাদের রাজ্য সরকারের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে লাগাতার কাজ করে চলেছে। তাতেই এই সাফল্য এসেছে। ছাত্রীরাও পরীক্ষায় ভালো করছে। মুখ্যমন্ত্রী কন্যাশ্রীর মতো যেসমস্ত প্রকল্প রূপায়ণ করেছেন, তার ফলে ছাত্রীদের শিক্ষাক্ষেত্রে অভূতপূর্ব ফলাফল করছে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)