• রাজ্যের সেরা দশে মুর্শিদাবাদের দু’জন
    বর্তমান | ০৮ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: মাধ্যমিকের খরা কাটল উচ্চ মাধ্যমিকে। মুর্শিদাবাদ জেলার দুই কৃতী জায়গা করে নিয়েছে রাজ্যের মেধা তালিকায়। বহরমপুরের অঙ্কুর ঘোষ ৪৮৯ নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে নবম স্থান অধিকার করেছে। তাঁর যমজ দাদা অয়ন ঘোষও ৪৮১ নম্বর পেয়েছে। অঙ্কুর কাশিমবাজার নিমতলা হাই স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। দাদা ভাই দু’জনেই আগামীতে ডাক্তার হতে চান। অপরদিকে, কান্দি রাজ হাই স্কুলের অভিষেক দাস উচ্চ মাধ্যমিকে দশম স্থান অধিকার করেছেন। বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮। আর তাঁরও যমজ দাদা অরুণাভ দাস উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৮৭ নম্বর পেয়েছেন। এক নম্বরের জন্য মেধা তালিকায় ঠাঁই হয়নি।  তাঁরা দু’জনেই ডাক্তার হতে চান। তাই খুশির হাওয়া দুই যমজের পরিবারে। মেধাবীরা নিজেদের ফলাফলের পাশাপাশি এদিন বাড়তি খুশি ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য। পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিতে ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের কারণে তারা উচ্ছ্বসিত। 

    অঙ্কুরের বাবা অরূপকুমার ঘোষ হিকমপুর হাই স্কুলের পার্শ্বশিক্ষক। অঙ্কুর ও তাঁর দাদার কোনও গৃহশিক্ষক ছিল না। বাবা এবং সহকর্মীদের কাছ থেকে মাঝেমধ্যে পড়াশোনা খুঁটিনাটি বিষয় দেখে নিতেন দুই ভাই। তাঁদের এই সাফল্যে খুশি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। অঙ্কুর ও তাঁর যমজ দাদা অয়ন দু’জনেই ডাক্তার হতে চান। অঙ্কুর বলে, নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম মেনে পড়তাম না। বাবা এবং স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছে পড়াশোনা দেখিয়ে নিতাম। আলাদা কোনও গৃহশিক্ষক ছিলেন না। ফল ভালোই হয়েছে, আরও একটু নম্বর বাড়লে ভালো হতো। তবে আমি খুশি। আগামীতে চিকিৎসক হতে চাই। তবে আরও ভালো লাগছে পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে আমাদের দেশ। 

    অরূপবাবু বলেন, দুই ভাইয়ের নম্বর আর একটু বাড়ত। কোথায় কমেছে আমরা স্ক্রুটিনি করব। ওদেরকে পড়াশোনা নিয়ে বলতে হতো না। কোনও বাঁধাধরা নিয়ম ছিল না। গৃহশিক্ষকও ছিল না। আমরাই দুই ভাইকে পড়া দেখিয়ে দিতাম। 

    অপরদিকে, কান্দি শহরের ছাতিনাকান্দি এলাকার বণিকপাড়ায় বাসিন্দা অভিষেক উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৮৮ নম্বর পেয়ে দশম স্থান পেয়েছে। তিনি কান্দি রাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। তাঁর যমজ দাদা অরুণাভ দাসও উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৮৭ নম্বর পেয়েছেন। এক নম্বরের জন্য মেধা তালিকায় ঠাঁই হয়নি। মাধ্যমিকেও অভিষেক ৬৮০ পেয়েছিলেন। আর অরুণাভ পেয়েছিলেন ৬৭৯ নম্বর। তফাৎ সেই এক নম্বরের। তাঁদের বাবা অমিতাভ দাস বহরমপুর জেলা পশু হাসপাতালের চিকিৎসক। অভিষেক ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চান। তাঁদের ছ’জন প্রাইভেট টিউটর ছিলেন। অভিষেক ক্রিকেট খেলতে ভালোবাসেন। অভিষেক বলেন, আজ খুব ভালো লাগছে। আমরা দুই দাদা-ভাই চিকিৎসক হতে চাই। তবে দাদা আর এক নম্বর পেলে বেশি খুশি হতাম। অমিতাভবাবু বলেন, দুই ছেলেই চিকিৎসক হতে চায়। মা সারদা দাস বলেন, দু’জনেই সবসময় লেখাপড়ার মধ্যে ডুবে থাকে। তবে নিয়মিত টেলিভিশন দেখে। আন্তজার্তিক বিষয়গুলির খবর রাখে। বিজ্ঞান বিষয়ে ছোট থেকেই ওদের মেধা লক্ষ্য করেছিলাম।
  • Link to this news (বর্তমান)