• উচ্চ মাধ্যমিকে ষষ্ঠ নব নালন্দার ছাত্র পরন্তপ শিক্ষক হতে চান, অষ্টম ওই স্কুলেরই অনুভবের স্বপ্ন ডাক্তার হওয়া
    বর্তমান | ০৮ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বোলপুর: উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যের মেধা তালিকায় ষষ্ঠ স্থান অধিকার করে নজর কাড়লেন শান্তিনিকেতন নব নালন্দা হাইস্কুলের ছাত্র পরন্তপ মুখোপাধ্যায়। কলা বিভাগে ৪৯২ পেয়ে তাক লাগিয়েছেন। ওই স্কুলেরই আর এক ছাত্র অনুভব মণ্ডল ৪৯০নম্বর পেয়ে রাজ্যে অষ্টম হয়েছেন। ভালো নম্বর পাবেন আশা করলেও রাজ্যের সেরা দশের জায়গা পাবেন, ভাবেননি দু’জনেই। তাই নিজেদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত পরন্তপ ও অনুভব। পরন্তপ শিক্ষক হতে চান। অনুভবের ইচ্ছা ডাক্তার হওয়ার। 

    পরন্তপের বাড়ি বোলপুরের রবীন্দ্রবীথি বাইপাস সংলগ্ন রবীন্দ্রপল্লি এলাকায়। ছোট থেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী। পাশাপাশি বাস্কেট বল খেলায় পারদর্শী। পাঞ্জাবের পাতিয়ালায় আয়োজিত স্কুল ন্যাশনাল বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় তিনি বাংলার প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। বাবা প্রীতম মুখোপাধ্যায় সাঁইথিয়ার অভেদানন্দ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক। নিয়মমাফিক পড়াশোনা করেই তার এই সাফল্য এসেছে বলে জানিয়েছেন পরন্তপ। তিনি বরাবরই শান্তিনিকেতন নব নালন্দা হাইস্কুলের ছাত্র ছিলেন। বাংলায় ৯০, ইংরাজিতে ৯৯, ইতিহাসে ৯৮, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৯৬, দর্শনে ৯৯ ও মডার্ন কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে ১০০ পেয়েছেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে শিক্ষক হতে চাই।

    ৪৯০ নম্বর পেয়ে রাজ্যে অষ্টম বিজ্ঞানের ছাত্র অনুভব মণ্ডলের বাড়ি বিশ্বভারতীর শ্রীনিকেতন ক্যাম্পাস সংলগ্ন জীবনকৃষ্ণ পল্লিতে। তিনি বাংলায় ৮৮, ইংরেজিতে ৯৮, পদার্থবিদ্যা, অঙ্ক ও বায়োলজিতে ১০০ ও রসায়নে ৯২ নম্বর পেয়েছেন।  তবে এত ভালো সাফল্য এলেও বিষয়টি মোটেই সহজ ছিল না। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার তিনদিন আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হন বাবা নিশীথ মণ্ডল। দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। বাবার অসুস্থতার খবরে ভেঙে পড়েন অনুভব। লাগাতার প্রস্তুতির পর শেষমুহূর্তে এমন একটা পরিস্থিতির জন্য কেউ প্রস্তুত ছিল না। অনুভব তো নয়ই। সেই কঠিন পরিস্থিতিতেও মনের জোরে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ওই পরিস্থিতির কারণে বাংলায় নম্বর কমে গিয়েছে। না হলে নম্বর আরও বাড়ত বলে জানান অনুভব। 

    অনুভব বলেন, সারা দিনে ছ’ থেকে আট ঘণ্টা পড়াশোনা করেই এই সাফল্য এসেছে। তবে রাজ্যের মেধা তালিকায় জায়গা পাব ভাবিনি। রাজ্যে অষ্টম হতে পেরে আমি অত্যন্ত খুশি। পড়াশোনার বাইরে চুটিয়ে খেলতে ও ঘুরতে ভালোবাসি। কম্পিউটারের কোডিং করতেও ভালো লাগে। ডাক্তার হতে চাই। স্কুলের তরফে মধুমিতা ভট্টাচার্য বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে এই ধারাবাহিক সাফল্য পেয়েছে আমাদের স্কুল। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আমরা খুব খুশি।
  • Link to this news (বর্তমান)