• হাঁসখালি থেকে ধৃত ১২ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী
    বর্তমান | ০৮ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: এক, দুই অথবা তিনজন নয়, একরাতে পুলিসের জালে এক ডজন বাংলাদেশি। প্রত্যেকেই বেআইনি পথে অনুপ্রবেশ করেছিল ভারতীয় ভূখণ্ডে। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে হাঁসখালি থানার পুলিস। কোনও নির্জন, নিভৃত আশ্রয় নয়, বগুলার জনবহুল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই অনুপ্রবেশকারীদের। আপাতত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের দালালের খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা।  পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, লাগাতার ধরপাকড়ের মাঝেও লুকিয়ে চুরিয়ে চলছে অনুপ্রবেশ। এমনকী আন্তর্জাতিক মানব পাচারচক্রের সঙ্গে যুক্ত ভারতীয় দালালদের একটা বড় অংশ ধরা পড়লেও নির্মূল করা যায়নি পাচারচক্রকে। এমতাবস্থায় গোপন সূত্রে হাঁসখালি থানার কাছে খবর আসে, প্রায় এক ডজন বাংলাদেশি পুরুষ এবং মহিলা অনুপ্রবেশকারী বেআইনি পথে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার করে প্রতিবেশী দেশে পালানোর ছক কষছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে বগুলার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কাছে অভিযান চালায় পুলিসের একটি বিশেষ দল। সেই অভিযানেই তাদের ঝুলিতে ধরা পড়ে অনুপ্রবেশকারীরা। ধৃতদের নাম, রাইজুল শেখ, কুলচুম বেগম, আমিন মোল্লা, হাবিবুর মোল্লা, আব্বাস আলি শেখ, কাজল শেখ, হোসনারা বেগম, মনিরুল শেখ, আব্দুল্লাহ আনসারি, রিফু আনসারি এবং রুকাইয়া আনসারি। এরা কেউ বাংলাদেশের যশোর জেলা, কেউ নড়াইল জেলার বাসিন্দা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, প্রত্যেকেই প্রায় চার বছর আগে উত্তর ২৪ পরগনার ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে ভারত ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেছিল। এরপর ছড়িয়ে পড়ে দেশের পশ্চিমের বিভিন্ন প্রান্তে। মূলত পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করত তারা। সম্প্রতি বেআইনি পদ্ধতিতেই পুনরায় বাংলাদেশ ফেরত যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল তারা। সেইমতো মানব পাচার চক্রের দালালরা হাঁসখালি এলাকার কাঁটাতারবিহীন সীমান্তকেই বেছে নিয়েছিল পাচারের জন্য। বগুলায় একত্রিত করা হয়েছিল ১২ বাংলাদেশের নাগরিককে। যদিও সেই খবর চলে আসে পুলিসের কাছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মানব পাচারচক্রের কোন দালালের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হয়েছিল এবং কত টাকায় রফা হয়েছিল তা জানার চেষ্টা চলছে।  এছাড়াও ধৃতদের কাছ থেকে দুইটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)