• আমানতকারীদের সঙ্গে প্রতারণা, কো-অপারেটিভের কর্ণধার ধৃত
    বর্তমান | ০৮ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কো-অপারেটিভ সোসাইটি খুলে বিপুল পরিমাণ রিটার্নের টোপ দিয়ে আমানতকারীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও টাকা না পাওয়ায় এক আমানতকারী অভিযোগ করলে শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিস মঙ্গলবার চারু মার্কেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ওই সংস্থার কর্ণধার জ্যোর্তিময় চক্রবর্তীকে। কত টাকা ওই কো-অপারেটিভ বাজার থেকে তুলেছে, লেনদেনের নথি ঘেঁটে তার হিসেব কষছেন তদন্তকারীরা।

    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শেক্সপিয়র সরণি থানা এলাকায় অফিস কো-অপারেটিভ সংস্থার। তারা ফিক্সড ডিপোজিট, মান্থলি ইনভেস্টমেন্ট সহ একাধিক স্কিম ছেড়েছিল। বলত, ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের তুলনায় দ্বিগুণ সুদ পাবেন গ্রাহকরা। ফলে অল্প সময়ে দ্বিগুণ হবে টাকা। গ্রাহক ধরতে বিভিন্ন জেলায় এজেন্ট নামিয়েছিল কো-অপারেটিভের কর্তারা। ম্যানেজাররা বিভিন্ন সময়ে এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করত সংস্থার অফিসে। তাঁদের বোঝানো হতো, বিভিন্ন প্রকল্পে চড়া সুদে খাটছে এই টাকা। ওই লাভেরই একটি অংশ আমানতকারীদের ফেরত দেওয়া হচ্ছে। এজেন্টদের অনেকেই এই কথায় আশ্বস্ত হয়ে গ্রাহক ধরে আনতেন।

    অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্মীর অভিযোগ, তিনি এই সংস্থার বিভিন্ন স্কিমে সুদের হার দেখে ৩৯ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। তাঁকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি টাকা ফেরত পাননি বলে অভিযোগ। বারবার যোগাযোগ করার পর তাঁকে দু’টি চেক দেওয়া হয়। সেই চেক বাউন্স করে। তারপরই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশে কেস রুজু করে শেকসপিয়র থানা। জালিয়াতি, প্রতারণা সহ একাধিক ধারায় কেস দায়ের হয়। তদন্তকারীরা জানতে পারে, এই কো-অপারেটিভে টাকা রেখে অনেক আমানতকারী প্রতারিত হয়েছেন। নিয়ম ভেঙে বাজার থেকে টাকা তুলেছে তারা। তারপরই সংস্থার ওই কর্ণধারকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। আমানতকারীদের টাকা কোথায় সরানো হয়েছে এবং কোথায়, কী সম্পত্তি কেনা হয়েছে, ধৃতকে জেরা করে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
  • Link to this news (বর্তমান)