• বেশি নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রে গ্রামীণ পরীক্ষার্থীরা টেক্কা দিলেন শহরকে
    বর্তমান | ০৮ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্য বোর্ডের বিভিন্ন পরীক্ষাতেই মেধা তালিকায় এগিয়ে থাকেন জেলার ছাত্রছাত্রীরা। অনেক ক্ষেত্রেই দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হয় কলকাতার প্রতিনিধিত্ব। বলা হতো, কলকাতার চেয়ে জেলার ফল ভালো। তবে শহরের চেয়ে গ্রামের ফল ভালো, এটা এতদিন হলফ করে বলা যেত না। কারণ পর্যাপ্ত পরিসংখ্যানের অভাব। এবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পরিসংখ্যানই তা স্পষ্ট করেছে। মেধায় গ্রাম যে শহরকে টেক্কা দিয়েছে, মিলেছে তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ। 

    যে কোনও পুরসভা বা কর্পোরেশন সরকারিভাবে শহর বা আর্বান এলাকা। বাকিগুলি গ্রামীণ এলাকা বলে ধরা হয়। এবার পরীক্ষার্থীদের ঠিকানা অনুযায়ী এই ভাগ করতে পেরেছে সংসদ। তাতে দেখা যাচ্ছে, গ্রামের ১.০৪ শতাংশ ছাত্রছাত্রী ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। শহরের ক্ষেত্রে সেই হার ০.৬৬ শতাংশ। ৮০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেয়েছেন গ্রামের ৬.৬৭ শতাংশ ছাত্রছাত্রী। শহর থেকে সেই হার মাত্র ৩.৫৮ শতাংশ। ৭০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর গ্রাম থেকে পেয়েছেন ১৭.১৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী। শহরের ক্ষেত্রে সেই হার ৮.৫৩ শতাংশ। ৬০ শতাংশ বা তার বেশি পেয়েছেন গ্রামীণ এলাকার ৩১.০৪ শতাংশ পড়ুয়া। শহর থেকে সেই হার মাত্র ১৪.৩৩ শতাংশ। মাথায় রাখতে হবে, এখানে শহর বলতে কিন্তু শুধু কলকাতা নয়। যে কোনও পুরসভাই এক্ষেত্রে শহর বলে গণ্য করা হয়েছে। সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, এই ফলের পর্যালোচনা করব আমরা।

    ছাত্রীদের ক্ষেত্রে একটি আশাব্যাঞ্জক ছবি দেখা গিয়েছে। সার্বিক পাশের হারে তাঁরা পিছিয়ে থাকলেও ৬০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পাওয়ায় এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রদের থেকে। অকৃতকার্যের সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণেই পাশের হারে পিছিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। তবে  পরীক্ষায় বসা ছাত্রীদের সংখ্যাও ছাত্রদের থেকে অনেক বেশি। উল্লেখ্য, ছাত্র বা ছাত্রী—উভয়ের ক্ষেত্রেই গ্রাম এবং শহরের ‘ফ্যাক্টর’ একইরকম কাজ করেছে। বেশি নম্বরের ক্ষেত্রেও একইভাবে শহরের ছাত্রছাত্রীদের টেক্কা দিয়েছে গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা। 
  • Link to this news (বর্তমান)