নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: ‘শ্রীজিতা দত্ত। বেথুন কলেজিয়েট স্কুল। নবম স্থানাধিকারী।’ টিভির সামনে বসে পরপর এই তিনটি শব্দ নিজের কানে শুনেছিলেন। কিন্তু মেধা তালিকায় নিজের নাম শুনেও আমল দেননি। কারণ স্কুল থেকে একই নাম-পদবির আরও একজন ছাত্রী এবার উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছে। শ্রীজিতা ভেবেছিলেন, সেই শ্রীজিতাই বোধহয় র্যাঙ্ক করেছে। পরে স্কুল থেকে তাঁকে ফোনে ফল জানানোর পর উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন। বুঝতে পারেন, প্রথম দশের তালিকায় তিনিই দখল করেছেন নবম স্থান। এ খবরে উচ্ছ্বসিত শ্রীজিতার পরিবার।
কলকাতার জোড়াবাগান থানা এলাকার বিকে পাল অ্যাভিনিউয়ে শ্রীজিতার বাড়ি। বাবার নাম শান্তনু দত্ত। তিনি বটানিক্যাল গার্ডেনে কর্মরত। মা সোমাদেবী গৃহবধূ। শ্রীজিতার যমজ দিদি শ্রীতমাও এবার উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছিলেন। তাঁর স্কুল অন্য। তবে দুই বোনই সায়েন্সের পড়ুয়া। নবম স্থানাধিকারী শ্রীজিতার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৯। তাঁর দিদি পেয়েছেন ৪২৭ নম্বর। ফল ঘোষণার কিছুক্ষণ পর শ্রীজিতার বাড়ি গিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। পাশাপাশি আত্মীয়, পরিজন, বন্ধুরা ফোন করে শুভেচ্ছা জানান। পড়াশোনার বাইরে এই মেধাবী ছাত্রীর অবসর সময় কাটে দাবা খেলে। করোনার সময় দাবাই ছিল প্রিয়সঙ্গী।
শ্রীজিতা বলেন, ‘ভালো ফল হবে আশা করেছিলাম। কিন্তু প্রথম দশের তালিকায় থাকব ভাবিনি। আমাদের স্কুলে শ্রীজিতা দত্ত নামে আরও একজন রয়েছে। ও পড়াশোনাতে ভালো। টিভিতে শ্রীজিতা নাম শুনে প্রথমে আমি ভেবেছিলাম বোধহয় ও নবম হয়েছে। পরে স্কুল থেকে ফোন পেয়ে বুঝতে পারি নবম স্থানাধিকারী শ্রীজিতা হচ্ছি আমি। একের পর এক ফোন পাচ্ছি। সত্যিই ভালো লাগছে।’ তিনি যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়েও সচেতন। বলেন, ‘পহেলগাঁও হামলার জবাব দিয়েছে ভারত। জঙ্গি ঘাঁটি ধংস করেছে। তাই আজ জোড়া আনন্দ।’ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বলেন, ‘এখন অঙ্কে অনার্স নিয়ে পড়ব। তারপর সিভিল সার্ভিসে যাওয়ার ইচ্ছে আছে।’