‘বাংলার বাড়ি’র টাকা ফিরিয়ে দিলেন দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য
বর্তমান | ০৮ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: তিনি তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হওয়ার আগে থাকতেন মাটির বাড়িতে। সেই সময় আবাস যোজনায় আবেদন করেছিলেন। ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে প্রথম দফায় ৬০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু যাঁদের ভোটে তিনি জনপ্রতিনিধি হয়েছেন, তারা অনেকেই এখনও কাঁচাবাড়িতে থাকছেন। তাই ‘বাংলার বাড়ি’র টাকা নিলেন না দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য মহঃ আব্দুল হাকিম। বিডিওর কাছে আবেদন করে টাকা ফিরিয়ে দিলেন তিনি।
দেগঙ্গা ব্লকের হাদিপুর-ঝিকরা পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হাকিম। বাস করতেন একটি মাটির বাড়িতে। ২০১৯ সালে আবাস যোজনায় ঘরের জন্য তিনি আবেদন করেছিলেন। তখন অবশ্য তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছিলেন না। সাধারণ নাগরিক হিসেবেই তিনি সরকারি ঘরের জন্য আবেদন করেন। ২০২৪ সালে বিডিও অফিস তাঁর আবেদনপত্র খতিয়ে দেখে। এলাকায় গিয়েও খোঁজখবর করা হয়। তাতে আব্দুল সরকারি বাড়ি পাওয়ার ‘উপযুক্ত’ বলে বিবেচিত হন। তৃণমূলের টিকিটে গত বছর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল। সম্প্রতি তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ঢুকেছে। বিডিওর সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই টাকাই ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। আব্দুল বলেন, ‘এখন আমি একটি পাকাবাড়ি তৈরি করছি। সরকারি বাড়ি আমার দরকার নেই। এলাকার অন্য মানুষের কথা ভেবে বিবেকের তাড়নায় টাকা ফেরালাম মঙ্গলবার।’ দেগঙ্গার বিডিও ফাহিম আলম বলেন, ‘আব্দুল হাকিম বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা ফিরত দিয়েছেন। সেই টাকা সরকারি কোষাগারে পাঠানো হয়েছে।’ এনিয়ে দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আনিসুর রহমান (বিদেশ) বলেন, ‘টাকা পাওয়ার পরই উনি তা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। মঙ্গলবার তিনি ৬০ হাজার টাকা ফেরত দিলেন।’ -নিজস্ব চিত্র