অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই বন্ধ বিদ্যুৎ ও লিফ্ট, চরম ভোগান্তি
বর্তমান | ০৮ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ১৮ অক্টোবরের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল হাসপাতালের। ওই কারণে ৮০ জন রোগীকে স্থানান্তরিত করা হয়। ওই ঘটনায় মারাও গিয়েছিলেন এক রোগী। তারপর ছ’মাস কেটে গিয়েছে। এখনও শিয়ালদহ ইএসআই হাসপাতাল পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি।
ওই ঘটনার পর থেকেই মেইন বিল্ডিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ একাংশেই বিদ্যুৎ নেই। ফলে দুটি লিফটই বন্ধ। রোজ ভীষণ ভোগান্তির মধ্যে কাটছে রোগী থেকে চিকিৎসক-কর্মীসহ অনেকের। চারতলা বাড়িটির একদিকে রয়েছে ক্যান্সার ওয়ার্ড ও মেডিসিন বিভাগ। সেসব রোগীদের শারীরিক অবস্থা যেমনই হোক না কেন, তাঁদের যাতায়াত করতে হচ্ছে সিঁড়ি ভেঙে। প্যাথোলজি, ব্যথা-বেদনার চিকিৎসার পেইন ইনস্টিটিউটে যেতে গেলেও সেই একই ব্যবস্থা। চারতলা-একতলা রোজ উঠুন সিঁড়ি দিয়ে! তা সেই রোগী হন বা চিকিৎসক-নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মী। এই পরিস্থিতিতে এখানকার অর্থোপেডিক অপারেশন থিয়েটার-ওয়ার্ড দুটি সরিয়ে দিতে হয়েছে মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালে। সব মিলিয়ে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষত শুকয়নি ছ’মাস কাটার পরও।
এই বিষয়ে রাজ্য শ্রমদপ্তরের ইএসআই শাখার এক পদস্থ সূত্রের বক্তব্য, নতুন বাড়ি তৈরি করার ছাড়া এখানে পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে না। দেখা যাক, কী করা যায়!
সম্প্রতি হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল, প্রধান ভবনের আর একটি দিক দিয়ে দুই, তিন বা চারতলা—কোনও তলাতেই ওঠার কোনও রাস্তা আর খোলা নেই। সেখানে কেউ যাবেনই-বা কী করে! দুটি লিফটই বন্ধ। ওঠার রাস্তাও বন্ধ। অগত্যা উপায়? একতলার আউটডোর দিয়ে এগলে ডানদিকে একটি দরজার অপর দিকে পড়বে উপরে ওঠার আর একটি ছোট রাস্তা। সেখানেও অবশ্য কোনও লিফট নেই। সিঁড়ি দিয়েই চলছে ওঠানামা। দোতলার হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক ক্লিনিক বা তিনতলায় প্যাথোলজি, কেউ যাবেন কীভাবে? প্যাথোলজির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করবার জায়গা গ্রাউন্ড ফ্লোরে। কিন্তু রিপোর্ট? তা সংগ্রহ করতে গেলে বাড়ির লোকজনকে দরদর করে ঘামা গরমেই তিনতলায় ওঠানামা করতে হবে। ব্যথার চিকিৎসা করাতে ইনস্টিটিউট অব পেইন ম্যানেজমেন্টে যেতে গেলেও একইঅবস্থা। প্রতিক্রিয়া জানতে ইএসআইয়ের অধিকর্তা তন্ময় চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। -নিজস্ব চিত্র