রনি চৌধুরী, বানারহাট
গোটা দেশে যখন ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে তোলপাড় চলছে, তখন বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনির বাইরে দেদার বিকোচ্ছে জলপাই রঙের সেনা পোশাক। যুদ্ধের আবহাওয়ায় এই পোশাক কিনতে দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বেশ কিছু রাজ্যে প্রকাশ্যে জলপাই পোশাক বিক্রির উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পহেলগামে সেনা জাওয়ান পোশাক পরেই হামলা চালিয়ে ছিল জঙ্গিরা। তাই এ ভাবে খোলা বাজারে সেনাদের উর্দির রংয়ের পোশাক বিক্রি জঙ্গিরা কাজে লাগাতে পারে বলে আশঙ্কা অনেকের।
বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনির ঢিল ছোড়া দূরত্বে রয়েছে তিনটি পোশাকের দোকান। জামা–প্যান্ট ছাড়াও জুতো, কোমরের বেল্ট সবই মেলে সেখানে। দোকান মালিক মনসুখ আগরওয়াল বলেন, ‘ভারতীয় সেনার পোশাক এবং অন্য সামগ্রী আমরা বিক্রি করে থাকি। সেনাদের পোশাক শুধু জাওয়ানদের কাছেই বিক্রি করা হয়। কখনও কোনও সাধারণ মানুষ আর্মির ড্রেস কিনতে চাইলে তাঁদের জামা বা প্যান্ট যে কোনও একটি বিক্রি করা হয়।’
আর এক দোকানদার সন্তোষকুমার মিশ্রা বলেন, ‘সেনা জওয়ান ছাড়াও পুলিশের কাপড়, টুপি, বেল্ট জুতা মোজা সবকিছু এখানে পাওয়া যায়। তবে এগুলি সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করা হয় না।’
যদিও নান্দনিক ধর নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘সেনা জওয়ানদের প্রতি ভালোবাসা এবং দেশপ্রেমের জন্য আমি ভারতীয় আর্মির জামা–প্যান্ট বিন্নাগুড়ি থেকে কিনেছি।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক লরিচালকও বিন্নাগুড়ির দোকান থেকে সেনার পোশাক কিনেছেন বলে স্বীকার করেন।
উধুমপুরে জঙ্গি হামলায় শহিদ শুভেন্দু রায়ের স্ত্রী অঞ্জনা রায় বলেন, ‘পহেলগামে হামলা হয়েছে আর্মির পোশাক পরে। তেমন ঘটনা আমাদের এখানেও জঙ্গিরা ঘটাতে পারে। এ ভাবে খোলা বাজারে সেনাদের পোশাক বিক্রি করা ঠিক নয়।’
বিন্নাগুড়ি ফাঁড়ির ওসি ভবেশ সুব্বা বলেন, ‘বহু আগে থেকেই বিন্নাগুড়িতে তিনটি দোকানে সেনার পোশাক বিক্রি হয়। তবে পুলিশের থেকে কোনও অনুমতি নিয়ে দোকানগুলি করা হয়নি। এখন যেহেতু পরিস্থিতি ভিন্ন, তাই বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।’