জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শিলিগুড়ির চিকেন'স নেকেও (Chicken's Neck) বসল ক্ষেপনাস্ত্র উত্ক্ষেপণ ব্যবস্থা! পহলেগাঁও হামলার পর থেকেই ভারত-পাক সীমান্তের উত্তেজনা তুঙ্গে। এরপর বুধবার গভীর রাতে ভারতের প্রত্যাঘাত 'অপারেশন সিঁদুর'(Operation Sindoor)। সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানে মাটিতে ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের সামরিক অভিযানের পরই পালটা প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে বুধবারই সীমান্তবর্তী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সবরকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে বলেন।
চিকেন'স নেকে সারফেস টু এয়ার মিসাইল
জানা যাচ্ছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ, চিন, নেপাল ও ভূটান ঘেরা পশ্চিমবঙ্গের চিকেন'স নেককে সুরক্ষিত রাখতে প্রস্তুতি কোনওরকম ত্রুটি রাখছে না ভারতীয় সেনা। প্রায় সাড়ে ২২ কিমি দীর্ঘ শিলিগুড়ির চিকেন'স নেক করিডরে বসানো হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র উত্ক্ষেপণ ব্যবস্থা। মাটি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য, সারফেস টু এয়ার মিসাইল লঞ্চার বা স্যাম বসানো হয়েছে (Surface to Air Missile)। রাশিয়ার তৈরি এই স্যামের মাধ্যমে ৪০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম মিসাইল ছোঁড়া সম্ভব। যার মাধ্যমে যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার ও ড্রোনকে আকাশেই ধ্বংস করা সম্ভব।
উল্লেখ্য, বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, 'আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করব। সবাই আমরা দেশের পক্ষে।' মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আপনাদের দায়বদ্ধতা আছে, এই সময়টা খুব শান্ত এবং সংযত থেকে মানুষকে সঠিক তথ্য, যেটা পরিবেশন করা সম্ভব। যাতে কোনও অশান্তি না হয়, কোনও প্ররোচনা না হয়, কোনও হিংসা ছড়ায়, কোনও প্ররোচনা না ছড়ায়। সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করার জন্য আহ্বান করছি'। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বক্তব্য, 'চিন্তা করার কিছু নেই। আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। যারা বিভ্রান্তমূলক প্ররোচনামূলক খবর ছড়াবেন এখন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার গাইডলাইনে বৈঠকে জানানো হয়েছে'।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে হামলা চালায় জঙ্গিরা। নৃশংসভাবে খুন করা হয় পর্যটকদের। তারই জবাবে বুধবার গভীর রাত থেকে অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছে ভারত। গতকাল বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, 'কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীদের, সীমান্তে যাঁরা আছেন, তাঁদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। কেন্দ্র ও রাজ্যে সমস্ত দফতর, যারা মুখ্য় ভূমিকা পালন করেন, তাদের নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করব। সবাই আমরা দেশের পক্ষে। এই মানসিকতা নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্তই হয়েছে। সকলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে। নজরদারিও চলবে'।