বরুণ সেনগুপ্ত: চরম আর্থিক সংকটে ভাটপাড়ার শহিদ রঞ্জিতের পরিবার, ঝন্টু আলী শেখের স্ত্রীর মতো চাকরির প্রার্থনা করছেন স্ত্রী কৌশল্যাও। ২০২৩ সালে ৬ জুন ভাটপাড়া শুগিয়াপাড়ার বাসিন্দা রঞ্জিত যাদব মনিপুরে জঙ্গীদের গুলিতে শহিদ হয়েছিলেন। এরপর থেকেই চরম আর্থিক সংকটে দিন কাটছে। ৭ জনের সংসার রঞ্জিত যাদবের পরিবারে। তারমধ্যে এক প্রতিবন্ধী বোনও আছে রঞ্জিতের। শহিদ BSF জওয়ান রঞ্জিত যাদবের অবসর ভাতাই একমাত্র সম্বল গোটা যাদব পরিবারের।
যে কটা টাকা পান তা দিয়ে অতি কষ্টে দিন গুজরান করতে হচ্ছে এই শহিদ পরিবারের। তবে শহিদ রঞ্জিতের স্ত্রী কৌশল্যা যাদব এবং মা ভারতী যাদবের একটাই দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন ঝন্টু আলি শেখের স্ত্রী-কে চাকরি দিয়েছে, সেইরকম যদি তাকে একটা চাকরি দেয় তাহলে পরিবারটা বেঁচে যায়। বুধবার জেলাশাসকের কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় আর সাক্ষাৎ হয়নি।
তবে মুখ্যমন্ত্রী যদি তাদের পাশে দাঁড়ান তাহলে বেঁচে যাবে গোটা পরিবার। মুর্শিদাবাদ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার, সেই জেলাতে দাঁড়িয়েই নিহত বিএসএফ জওয়ান ঝন্টু আলি শেখের স্ত্রী শাহানাজ শেখকে রাজ্য পুলিসের কনস্টেবল পদে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে নিহত ঝন্টু আলি শেখের পরিবারকে দেওয়া হয় ১০ লক্ষ টাকার চেক।
দিন কয়েক আগে কাশ্মীরের পেহেলগাও তে ২৬ জন পর্যটকদের হত্যা করা হয়। জানা যায় সেই সমস্ত জঙ্গিরা পাকিস্তান মদতপুস্ট। এরপরেই প্রতিশোধের আগুনে ফুঁসছিল গোটা দেশ। প্রসঙ্গত, নদিয়া জেলার তেহট্টের পাথরঘাটা অঞ্চলের বাসিন্দা ৬ প্যারা এসএফ-এ কর্মরত ছিলেন ঝন্টু আলি শেখ।। জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার পরেই উধমপুরের জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে নিহত হন ঝন্টু ।