• দু’বছর ধরে অন্ধকারে, ঝণ্টু শেখের স্ত্রীর মতো সরকারি চাকরি চাইছে মণিপুরে শহিদের পরিবার
    প্রতিদিন | ০৮ মে ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাকপুর: বছর দুই আগে সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে শহিদ হয়েছেন স্বামী। মণিপুরের জঙ্গলে সেই ঘটনার পর থেকেই অন্ধকারে ডুবে ভাটপাড়া পরিবার। সরকারি তরফে কোনও সাহায্য মেলেনি। স্বামী, সন্তান, শাশুড়ি, ননদ সবাইকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম দশা শহিদ সেনা রঞ্জিত যাদবের স্ত্রীর। সম্প্রতি পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলায় ২৬ নিরীহ ভারতীয়র মৃত্যুর পর সীমান্ত রক্ষা করতে গিয়ে শহিদ হয়েছেন নদিয়ার জওয়ান ঝণ্টু আলি শেখ। তাঁর স্ত্রীকে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা দেখে ভাটপাড়ার জওয়ানের স্ত্রীও সরকারি চাকরির আবেদন জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁর আর্জি, একটা চাকরি পেলে পরিবারটা বেঁচে যায়।

    ২০২৩ সালে ৬ জুন। ভাটপাড়ার শুগিয়াপাড়ার ১৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা, বিএসএফ জওয়ান রঞ্জিত যাদব মণিপুরে জঙ্গিদমনে গিয়েছিলেন। জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হন তিনি। অনাথ হয়ে পড়েন স্ত্রী, সন্তান, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বোন সকলে। তারপর থেকে কেটে গিয়েছে দুটি বছর। রঞ্জিতের ভাতাই এখন পরিবারের একমাত্র আর্থিক উৎস। কিন্তু সেই অর্থে হয় না কিছুই। অন্যত্র কাজ করে কোনওক্রমে সংসার চালাচ্ছেন রঞ্জিতের স্ত্রী কৌশল্যা। কিন্তু এই সংগ্রাম আর কতদিন? এবার তাই তাঁর আবেদন, রাজ্য সরকার একটা চাকরি দিক। তাহলে কষ্ট লাঘব হয় তাঁদের।

    দিন কয়েক আগে জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালাতে গিয়ে শহিদ হয়েছেন নদিয়ার বিএসএফ জওয়ান ঝণ্টু আলি শেখ। তাঁর স্ত্রী শাহানাজকে সরকারি চাকরি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন শহিদ রঞ্জিতের স্ত্রী কৌশল্যা যাদব এবং মা ভারতী যাদবের একটাই দাবি, মুখ্যমন্ত্রী যেমন ঝন্টু আলি শেখের স্ত্রীকে চাকরি দিয়েছেন, তেমনই যদি কৌশল্যাকেও একটা চাকরি দেন, তাহলে পরিবারটা একটু ভালোভাবে বাঁচতে পারে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)