• বুথ-মণ্ডল কমিটির রিপোর্টে জল! ভোটের আগে বড় বদলের ঝুঁকি নিল না বিজেপি
    প্রতিদিন | ০৮ মে ২০২৫
  • রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের মুখে বাংলায় দলীয় সংগঠনে বড় মাপের রদবদলের ঝুঁকি নেওয়ার সাহস দেখাল না বিজেপি। বুধবার রাজ্য বিজেপির বর্ধিত সাংগঠনিক বৈঠকে দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশলের ঘোষণা, এখন যেমন চলছে, বিধানসভা ভোটেও সেভাবেই রাজা সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি লড়াই করবে।

    ২৬-এর ভোটপ্রস্তুতিতে সল্টলেকের একটি হোটেলে রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকের আয়োজন করেছিল বিজেপি। সুকান্ত, শুভেন্দু ছাড়াও সব সাংসদ, সাধারণ সম্পাদক-সহ রাজ্যস্তরের সব পদাধিকারী, জেলা সভাপতি, জেল ইনচার্জয়া ছিলেন। ছিলেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল, মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব্যরা। উল্লেখযোগ্য অনুপস্থিতি দিলীপ ঘোষের। দলীয় সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে ডাক পাননি দিলীপ। এদিন জেলা ও মণ্ডলস্তরের সংগঠনের রিপোর্ট নিয়ে ফের বনশলদের একরাশ বিরক্তির মুখে পড়তে হয়েছে রাজা ও জেলা নেতৃত্বকে।

    দলীয় সূত্রে খবর, বুথ ও মণ্ডল কমিটি গঠন নিয়ে জেলা সভাপতিদের রিপোর্ট শুনে বনশল প্রশ্ন করেন, “সত্যি কথা বলুন তো, এই রিপোর্টে কত জল মেশানো। আছে। আদৌ হয়েছে কমিটি?” এ সময় মাত্র জনা দশেক জেলা সভাপতি উঠে দাঁড়িয়ে দাবি করেন যে তাঁদের জেলায় কমিটি গঠনের কাজ সম্পূর্ণ। যা শুনে বাকিদের উদ্দেশে বনশলের কটাক্ষ, “তাহলে বাকিরা মিথ্যা কথা বলছেন।” বক্তব্য রাখার সময় সেই প্রসঙ্গ টেনে বনশলকে বলতেও শোনা যায়, “আগেও দেখেছি, বালার রিপোর্ট সব সময় ঝকঝকে হয়। আর কোনও রাজ্যের এত ভালো রিপোর্ট নয়। কিন্তু কাজ করতে গিয়ে বুঝতে পেরেছি, বাংলায় বিজেপি নেতারা সাংগঠনিক রিপোর্টে কতটা জল মেশান।”

    জল মেশানো রিপোর্ট নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন শুভেন্দুও। তিনি বলেন, “রাস্তায় কর্মসূচি হয় কিন্তু দেড়শোর বেশি লোক হয় না কেন। আশি শতাংশ বুথে আদৌ কি কমিটি আছে। সবই তো ফোনে ফোনে কনফার্ম হয়েছে।” দিলীপ ঘোষের অনুপস্থিতি নিয়ে এদিন সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি নেতাদের কাছ থেকে। এ প্রসঙ্গে করা প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “অন্য কোনও ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন করুন। দিলীপ ঘোষের বক্তব্য নিয়ে পার্টির কী স্ট্যান্ড, সেটা যথাসময়ে জেনে যাবেন। যদিও সূত্রের খবর, সকলকে দলীয় অনুশাসন মানতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বনশল। তাঁর কথায়, পার্টিতে কিছু ক্ষেত্রে কনফিউশন তৈরি হচ্ছে। সেগুলিতে বিভ্রান্তি হবেন না। শীর্ষনেতৃত্বকে সম্মান দিতে শিখুন। বিজেপির বিচারধারায় বিশ্বাস রাখুন। অনেকে বিভিন্ন কমেন্ট করছে। যেটা দলের পক্ষে ভালো নয়।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)