• ‘‌জনগণের সেন্টিমেন্টের চাপে মিউ মিউ করতে হচ্ছে’‌, তৃণমূল সরকারকে একহাত দিলীপের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৮ মে ২০২৫
  • পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘‌অপারেশন সিঁদুর’‌ করে পহেলগাঁও হামলার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারত। আর তাতেই সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন করেছেন দেশের তামাম বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা–নেত্রীরা। হামলার ১৫ দিনের মাথায় এমন যোগ্য জবাব দেওয়ায় দেশবাসী এখন আনন্দিত। সিঁদুরের জবাব পাল্টা সিঁদুরে মেঘ দেখিয়ে দিয়েছে ভারত। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে আছেন। আর আজ, বৃহস্পতিবার বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ মনে করছেন জনগণের চাপে সুর বদলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

    এদিকে আজ ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ করতে আসেন প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। আর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। পাকিস্তানের উদ্দেশে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‌পাকিস্তান তার জন্ম থেকেই হিংসার রাজনীতি করে আসছে। সন্ত্রাসবাদ তাদের রাজনীতি। ভারতের পিছনে লেগে থাকা তাদের রাজনীতি। চিরদিন বর্ডারের নাগরিকদের উপর সেলিং করা, তাদের জমি ফসল নষ্ট করা, এসব করে এসেছে। এখন ওখানে রেলিং দেওয়ায় আসতে পারে না। ওদের সেনার ভারতের সঙ্গে লড়ার দম নেই। ভারত কোনওদিন সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়নি। ভারত এবং মোদীর পিছনে সবাই আছে। পাকিস্তানের সেনারা হুহু করে চাকরি ছাড়ছে।’‌


    অন্যদিকে ‘‌অপারেশন সিঁদুর’‌ নিয়ে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘‌সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব। এখন যেন আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ না থাকে। সবাই আমরা দেশের পক্ষে।’‌ তবে দিলীপ ঘোষ বলছেন, ‘‌মন খুলে কথা বলছেন না মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর সরকারের লোকেরা। শুধুমাত্র জনগণের চাপে এই ধরনের কথা বলতে হচ্ছে তাঁদের। স্পষ্ট করে বলতে হবে যে, আমরা ১০ কোটি মানুষ কেন্দ্রের সঙ্গে আছি। সেনার সঙ্গে আছি। কেন্দ্র যা সিদ্ধান্ত নেবে তার সঙ্গে থাকব। না হলে বুঝব, ডাল মে কুছ কালা হ্যায়।’‌

    তাছাড়া ‘‌অপারেশন সিঁদুর’‌ নিয়ে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও এককাট্টা হয়েছে কেন্দ্রের সঙ্গে। তাঁদের স্পষ্ট বার্তা, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই লড়াইতে তাঁরা এক সঙ্গে আছেন। আজ আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন। যদিও বিরোধীদের কড়া নিশানা করেছেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি নেতার কথায়, ‘‌এটা রাজনৈতিক মন্তব্য। উনি জানেন এটার বিরোধিতা করলে মানুষ শুইয়ে দেবে এবং ধুয়ে দেবে। কমিউনিস্ট পার্টি কোনওদিন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বলে না। আমরা ৭৫ বছর ধরে এই জিনিস দেখে আসছি। কংগ্রেস বলবে না। ওদের নেতারা পাকিস্তানের পক্ষে বলবে। কংগ্রেসের বাই প্রোডাক্ট হল তৃণমূল। আজ জনগণের সেন্টিমেন্টের চাপে মিউ মিউ করতে হচ্ছে। যদি হিম্মত থাকে তাহলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বলুন।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)