যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিঁদুর’ করে পহেলগাঁও হামলার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারত। পাকিস্তানও তলে তলে পাল্টা হামলা করার ছক কষছে। সুতরাং যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। আর তার ফলে দাম বাড়তে পারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের। লাগাছাড়া দামের জেরে নাভিশ্বাস উঠতে পারে মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নমধ্য়বিত্ত শ্রেণি মানুষজনের। কারণ এই মওকায় একশ্রেণির অসাধু ব্য়বসায়ীরা কৃত্রিম অভাব তৈরি করে অতিরিক্ত টাকাকড়ি লাভ করতে চেষ্টা করবে। আর সেটাই চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে মানুষজনের কাছে। তাই ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধ হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগে থেকে সতর্ক রাজ্য প্রশাসন।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এই পরিস্থিতি তৈরি হলে কেমন করে তা সামাল দেওয়া হবে তা নিয়ে নবান্নে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে গতকালই সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সে কথা জানান। রাজ্য সরকারের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে একটি টাস্ক ফোর্স আছে। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকের পরই আজকের বৈঠকে যোগ দিতে টাস্ক ফোর্স সদস্যরা তৎপর হয়ে উঠেছে। একাধিক ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে থাকতে পারে। প্রশাসন এবং পুলিশের শীর্ষকর্তারা এই বৈঠকে থাকবেন বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করেন। আর সেখান থেকে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার অ্যাগ্রো মার্কেটিংকে নিয়ে বৈঠক করবেন বিকেলে। যাতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে সেটার সুযোগ নিয়ে দাম না বাড়ে। তাই এই বৈঠক। খাদ্যসামগ্রীর দাম এখন মোটের উপর স্থিতিশীল রয়েছে। শাক–সবজি ছাড়া চাল, ডাল, চিনি, তেল, নুন, মশলা–সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মজুতও পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। আবহাওয়াও অনুকূল আছে। এই অবস্থায় গরমকালে নানা সবজির জোগান বাজারে ভালরকম আছে।
তবে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে সেটা থাকবে না। সাধারণ মানুষ তখন বিপদে পড়বেন। সেটা যাতে না হয় তাই এই জরুরি বৈঠক। এবার বাংলার হিমঘরগুলিতে ৭৪ লক্ষ টনের বেশি আলু মজুত রয়েছে। তাই আলুতে বেশি দাম নেওয়ার সুযোগ কম। এবার তার সঙ্গে পেঁয়াজের ব্যাপক ফলন হয়েছে। কিন্তু খোলাবাজারে চালের দাম আগে থেকেই একটু চড়ে আছে। সেটার উপর নজর রাখতে জরুরি বৈঠকে বলতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী বলে টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা মনে করছেন। মানুষের স্বার্থে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।