• শারীরশিক্ষা - কর্মশিক্ষার নিয়োগে নতুন করে স্থগিতাদেশ জারি হাইকোর্টের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৮ মে ২০২৫
  • ২০১৬ SSCর কর্মশিক্ষা - শারীরশিক্ষার নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানিয়েছেন, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি থাকবে। আদালতের এই রায়ে প্রায় ১,৬০০ চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ ঝুলে রইল। সূত্রের খবর, সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে রাজ্য।

    শারীরশিক্ষা - কর্মশিক্ষায় অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। সেই মামলায় গত মঙ্গলবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, এই মামলায় কোনও স্থগিতাদেশ বর্তমানে নেই। একই সঙ্গে কীসের ভিত্তিতে রাজ্য স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করছে তা জানাতে বলেন বিচারপতি। বৃহস্পতিবার রাজ্য জানায় এই মামলায় শেষবার স্থগিতাদেশ জারি হয়েছিল ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু যেহেতু সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলায় কলকাতা হাইকোর্ট সমস্ত ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করছিল তাই এক্ষেত্রেও তেমনই করা হয়েছে বলে মনে করা হয়েছিল। পালটা চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী বলেন, এই মামলায় ফের নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি করা হোক। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি বসু। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৮ জুলাই।

    বলে রাখি, গত ২৫ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে ধুন্ধুমার কাণ্ডবাঁধান কর্মশিক্ষা - শারীরশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীরা। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর যোগসাজস রয়েছে। সেই যোগসাজসের ফলে তাঁরা নিয়োগ পাচ্ছেন না এই অভিযোগে তাণ্ডব শুরু করেন তাঁরা। তাণ্ডব চলাকালীন বিচারপতি বসুর ছবি নিয়ে তাঁকে উদ্দেশ্য করে অবমাননাকর মন্তব্য করা হয়। চেম্বারে আটকে হেনস্থা করা হয় বিকাশবাবুর সহকারী আইনজীবীদের। ঘটনাস্থলে বিকাশবাবু পৌঁছলে তাঁকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে কলকাতা হাইকোর্ট। ইতিমধ্যে ওই ঘটনায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়েছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)