হাইড্রেনে কাজ করার সময় মৃত্যু হল শ্রমিকের, উদ্ধার করতে গিয়ে অসুস্থ বাবা ও কাকা...
আজকাল | ০৯ মে ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: হাইড্রেনে কাজ করার সময় অসুস্থ হয়ে বাবার সামনেই মৃত্যু হল ছেলের। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন বাবা ও কাকা। তাঁদের হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতের নাম রিয়াজুদ্দিন মোল্লা (১৮)। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন মৃতের বাবা জাকির মোল্লা ও কাকা হাবিব মোল্লা। বিষাক্ত গ্যাসের গন্ধে ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার শিবপুরের ফরশোর রোড ও ট্রামডিপোর মাঝখানে। জানা গিয়েছে এই তিনজনই কেএমডিএ-এর কর্মী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটা নাগাদ ফরশোর রোডে কেএমডিএ-এর গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যানে হাইড্রেন থেকে আবর্জনা তোলার কাজ চলছিল। কাজ করতে করতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন রিয়াজউদ্দিন। ছেলেকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন তাঁর বাবা এবং কাকা। কিন্তু ওই দু’জনও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় শিবপুর থানায় এবং দমকলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ এবং দমকল।
যদিও তাঁদের আসার আগেই অন্যান্য কর্মীরা এই তিনজনকে উদ্ধার করেন। পরে তাঁদের হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক রিয়াজুদ্দিনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, নর্দমা থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবে এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কেএমডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া শহরের অপরিশ্রুত নোংরা জল সরাসরি গঙ্গায় ফেলা হয় না।
সেই জল কেএমডিএ গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান্টের ট্যাঙ্কে ফেলা হয়। সেখানে সেই দূষিত জল পরিশ্রুত করা হয়। তারপর তা ফেলা হয় গঙ্গায়। কিন্তু নর্দমার জল থেকে কঠিন বর্জ্য আলাদা করার সময় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়নি কর্মীরা। যার ফলে ঘটে এই বিপত্তি। এই ঘটনার অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে শিবপুর থানার পুলিশ। কেএমডিএ-এর পক্ষ থেকেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হছে।