নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: ছ’দিন কেটে গেলেও বেতন বৃদ্ধি ও বকেয়া মেটানোর দাবিতে রায়গঞ্জ পুরসভার সাফাই কর্মীদের কর্মবিরতি অব্যাহত। যার জেরে বৃহস্পতিবারও শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় পড়ে রয়েছে আবর্জনার স্তুপ। রায়গঞ্জ শহরের মোহনবাটি বাজার, বন্দর বাজার, মিলনপল্লি, দেবীনগর, স্টেশন বাজার, স্টেশন রোড, স্কুল রোড, পুর বাসস্ট্যান্ড, জেলখানা মোড়, রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সহ শহরের প্রায় সব ওয়ার্ড দুর্গন্ধময়। সেইসঙ্গে এদিন পুরসভার গেটের সামনে বকেয়া মেটানোর দাবিতে অন্যান্য বিভাগের অস্থায়ী কর্মী ও পেনশনারদের বিক্ষোভ অবস্থান চলল। সবমিলিয়ে বেতন ও পেনশন ইস্যুতে অস্বস্তি বাড়ল রায়গঞ্জ পুর কর্তৃপক্ষের। যদিও পুরসভার বার্তা, সমস্যা মেটাতে দফায় দফায় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সমাধান সূত্র মেলেনি। এর পিছনে বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের। অবস্থা সামাল দিতে জরুরি ভিত্তিতে স্থায়ী কর্মীদের কাজে নামানো হতে পারে। সেই সঙ্গে পুরসভার হুঁশিয়ারি, দ্রুত কাজে যোগ না দিলে নতুন কর্মী নিয়োগ করা হবে।
পুরসভার অস্থায়ী কর্মী সন্দীপ কুমার রায়ের বক্তব্য, সাফাই কর্মী সহ পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের সিংহভাগের দু’মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। আবেদন নিবেদন করা হয়েছে পুর প্রশাসকের কাছেও। কিন্তু সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি।
পুরপ্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, বিরোধী দলের চক্রান্তে পা দিয়ে সাফাইকর্মীরা বিনা নোটিসে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। তারপরও আমরা ধাপে ধাপে বেতন দিয়ে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
তাঁর সংযোজন, বিগত বছরগুলির তুলনায় পুরসভার আয় বেড়েছে। মাসিক ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা আয় বাড়ানো হয়েছে। তবুও পুর আয় ও কর্মীদের বেতনের মধ্যে তারতম্য রয়েছে। কোভিডের সময়ও আমরা কখনও কোনও কর্মীর বেতন কমানোর মতো সিদ্ধান্ত নিইনি। মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ধারাবাহিকভাবে আমরা সকলকে সহযোগিতা করেছি।