৮টি আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার বিহারের এক অস্ত্র ব্যবসায়ী
বর্তমান | ০৯ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: সেনাবাহিনীর অপারেশন সিন্দুরের পরই নজরদারি জোরদার মালদহের সীমান্তবর্তী এলাকায়। স্থল এবং জলপথে নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ। পুলিসও নজরদারি বাড়িয়ে দিতেই বৃহস্পতিবার ভোরে বেআইনি অস্ত্র সহ একজন গ্রেপ্তার হয়েছে বৈষ্ণবনগর থেকে। এছাড়া এক সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁর নাম রুবেল আলি। তিনি বাংলাদেশি নাগরিক বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের কাছ থেকে ভারতের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড উদ্ধার হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর ধৃতকে বৈষ্ণবনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে জানা যায় তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। ভুল করে এখানে চলে এসেছেন।
বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায় বেআইনি অস্ত্র কারবারের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে রাজ্য পুলিসের এসটিএফও। আটটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ তারা বিহারের এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতের নাম সঞ্জিত কুমার তিওয়ারি (৩৮)। তিনি বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা। আন্তঃরাজ্য অস্ত্র পাচার রুখতে ধারাবাহিক অভিযান চালাচ্ছে এসটিএফ। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ভোরে বিহার থেকে অস্ত্র পাচারের খবর জানতে পারে এসটিএফ। বেআইনি অস্ত্র বিহার থেকে আনা হবে এবং বৈষ্ণবনগরের ওপর দিয়েই তা মালদহে প্রবেশ করবে বলেও জানতে পারে এসটিএফ। সেই মতো বৈষ্ণবনগর থানার পুলিসকে নিয়ে পিটিএস মোড়ের কাছে নাকা চেকিং শুরু হয়।
বেআইনি অস্ত্র সহ ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে বৈষ্ণবনগর থানাকে হস্তান্তর করে এসটিএফ। ধৃতের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস। এসটিএফ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মালদহে কাকে, কেন এবং কত টাকার বিনিময়ে অস্ত্র বিক্রি করতে এসেছিলেন, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিস।
একই সঙ্গে এদিন ৩ লক্ষ ৯২ হাজার পাঁচশো টাকার ভারতীয় জালনোট উদ্ধার হয় বৈষ্ণবনগর থেকে। প্রত্যেকটি জাল নোট পাঁচশো টাকার। ধৃত সিন্টু ওরফে সাহুদ সেখ বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার পারদেওনাপুর এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
বিএসএফ এবং পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুপ্রবেশ ও পাচার আটকাতে বৈষ্ণবনগরের পাশাপাশি মালদহ জেলার হবিবপুর, কালিয়াচক, পুরাতন মালদহ থানা এলাকার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।