নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: সন্ত্রাসের শিকড়ে হানা দিয়েছে ভারত। ‘অপারেশন সিন্দুর’। ভারতের প্রত্যাঘাতে দিশাহারা অবস্থা পাকিস্তানের। এই আবহেই নাশকতা রুখতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের লাইন পাহারায় জিআরপি এবং আরপিএফের সঙ্গে এবার মোতায়েন থাকছে আধাসেনাও।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের অধীনে থাকা বিস্তীর্ণ এলাকার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও ত্রিপুরা। তিন রাজ্যের বহু স্টেশনই বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা। রেল সূত্রেই জানা গিয়েছে, বারসই-রাধিকাপুর, একলাখি-বালুরঘাট শাখা,রানিনগর-হলদিবাড়ি,নিউ কোচবিহার-বামনহাট,ময়নাগুড়ি-চ্যাংরাবান্ধার মতো সীমান্ত ঘেঁষা শাখাগুলির ট্র্যাকগুলিতে ট্রলির মাধ্যমে লাইন পরিদর্শন চলছে। ত্রিপুরা-আগরতলা, অসমের বদরপুর-করিমগঞ্জ সহ আরও কয়েকটি শাখায় এই টহল চলছে। ট্র্যাকে নজরদারি চালানোর পাশাপাশি স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম সহ আশপাশের এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। লামডিং ডিভিশনের শিলচর-কাটাখাল শাখাতেও চলছে জয়েন্ট মোটর ট্রলি ইন্সপেকশন। রেল পরিকাঠামোর উপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের নিউ ময়নাগুড়ি-দোমোহনি শাখায় হেঁটে টহল চলছে। জিআরপি, আরপিএফ ও বিএসএফ একসঙ্গে রেল ট্র্যাকে ট্রলিতে চেপে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যাচ্ছে। সব স্টেশনেই বাহিনীর সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্যজনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জলকিশোর শর্মা বৃহস্পতিবার বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় জিআরপি-আরপিএফের সঙ্গে বিএসএফের যৌথ ট্র্যাক পেট্রোলিং হচ্ছে। ফোর্সও বাড়ানো হচ্ছে। এনজেপি, গুয়াহাটি, আগরতলার মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের পাশাপাশি সীমান্তবর্তী স্টেশনেও এটা চলছে। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর থেকেই শুরু হয়েছে বাড়তি নজরদারি। আপাতত এভাবেই টহল চলবে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগরতলা, অসম, উত্তরবঙ্গ মিলিয়ে প্রায় ৫০টি স্টেশনকে এই নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।
পহেলগাঁওয়েজঙ্গি হানায় ২৬জনের মৃত্যুর পর সারা দেশ সেনাবাহিনীর প্রত্যাঘাতের অপেক্ষায় প্রহর গুনছিল। কাঙ্খিত সেই প্রত্যাঘাত পাকিস্তানের মাটিতে ইতিমধ্যেই শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। সেই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ সুরক্ষাকেও মজবুত করতে যেকোনওরকম নাশকতা রুখে দিতে সমস্ত এজেন্সিই তৎপর। অসম, ত্রিপুরা ও উত্তরবঙ্গের বিরাট এলাকাজুড়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। কোনওভাবেই যাতে স্থানীয় রেলপথের উপর নাশকতামূলক কাজ না হয়সেজন্যই তৎপরতা শুরু হয়েছে।