বাংলাদেশ সীমান্ত পরিদর্শনে বিএসএফের উচ্চপদস্থ কর্তারা
বর্তমান | ০৯ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: যুদ্ধের আবহ! এজন্য উত্তরবঙ্গের বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ। নজরদারি চালানোর পাশাপাশি তারা গ্রামবাসীদের সঙ্গে জনসংযোগ নিবিড় করার অভিযানে জোর দিয়েছে। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে এসেছেন বিএসএফের ইস্টার্ন কমান্ডের এডিজি মহেশকুমার আগরওয়াল। তিনি প্রশাসনিক বৈঠকের পাশাপাশি একাধিক সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। সীমান্তে জওয়ানদের সর্বদা সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন বলে খবর।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার বদলা নিতে পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত করেছে ভারতীয় সেনারা। এরপরই উত্তরবঙ্গের বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদার করেছে বিএসএফ। জওয়ানরা সাইকেল, বাইক, গাড়ি ও নদীপথে স্পিড বোট নিয়ে ঘনঘন টহল দিচ্ছেন। সিসি ক্যামেরা ও ড্রোন উড়িয়েও সীমান্তে নজর রাখা হচ্ছে। একইসঙ্গে সীমান্ত গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচিও করছে বিএসএফ। বৃহস্পতিবার তারা ফুলবাড়িতে একটি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে নারী পাচার সম্পর্কে সচেতনতা শিবির করে। কয়েকদিন আগে ফুলবাড়িতে গ্রামবাসীদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে স্বাস্থ্য শিবির করা হয়। এছাড়াও তারা মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন গ্রামে ফুটবল ও ভলিবল খেলার আয়োজন করছে।
এই অবস্থায় এদিন কলকাতা থেকে এখানে আসেন এডিজি। প্রথমে তিনি কদমতলায় বিএসএফের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের সদর কার্যালয়ে যান। সেখানে তাঁকে অভিনন্দন জানান ফ্রন্টিয়ারের আইজি মুকেশ ত্যাগী। বিএসএফ সূত্রের খবর, ফ্রন্টিয়ারের অফিসারদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন এডিজি। বৈঠকে সীমান্তের বর্তমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আইজি রিপোর্ট পেশ করেন।
বৈঠকের পর এডিজি তিনবিঘা করিডরে যান। সেখানে তাঁকে সংশ্লিষ্ট করিডর ও সীমান্তের অবস্থা নিয়ে রিপোর্ট করেন বিএসএফের জলপাইগুড়ি সেক্টরের ডিআইজি। এরপর তিস্তা নদীর চর ও দহগ্রাম-অঙ্গারপোঁতা গ্রাম ঘুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। বিএসএফ সূত্রে খবর, পরে সীমান্তের ইলেকট্রনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা করেন এডিজি। সবশেষে জলপাগুড়ি সেক্টরের সদর কার্যালয়ে একটি সম্মেলনে যোগ দেন।