নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার: পোর্টাল চালু হয়নি। তাই উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের ২৪ ঘণ্টা পরও কলেজে ভর্তি নিয়ে খানিকটা চিন্তায় ছাত্রছাত্রীরা। তাঁরা এখন উচ্চশিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকার অপেক্ষায়। এদিকে, উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় নামী স্কুলগুলির একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আগ্রহ বেড়েই চলেছে। কিন্তু আসনের অভাবে স্কুলগুলিতে পছন্দের বিভাগে ভর্তির সুযোগ নাও পেতে পারে মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের একাংশ। স্কুলগুলিতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতেই মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের একাংশ এমন আশঙ্কা করছে।
বুধবার উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে। শিলিগুড়ি সহ দার্জিলিং জেলায় পাশের হার ৮৯.৬৮ শতাংশ। কিন্তু ফল প্রকাশের ২৪ ঘণ্টা পরও শিলিগুড়ি সহ জেলার কলেজগুলিতে ছাত্র ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। এ নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের একাংশ বলেন, কবে ভর্তির পোর্টাল চালু হবে, তা বুঝতে পারছি না। তাই পছন্দ মতো কলেজে ভর্তি হতে পারব কি না তা নিয়ে ধন্দে রয়েছি।
একই অবস্থা কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলার। কোচবিহারের অধিকাংশ কলেজ পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আব্দুলকাদের সাফেলি বলেন, উচ্চশিক্ষা দপ্তর যেদিন কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তির পোর্টাল খুলবে, সেদিন থেকেই ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজগুলির কোনও বিষয় নেই।
ওই পোর্টাল কবে খুলছে তা এখনও পর্যন্ত জানা নেই বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি আনন্দচন্দ্র কলেজের প্রিন্সিপাল দেবাশিস দাস। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় পোর্টালের জন্য যা যা তথ্য দরকার তার সবটাই কলেজের তরফে দেওয়া হয়েছে। তবে ওই পোর্টাল কবে খুলছে এখনও পর্যন্ত কোনও খবর আসেনি।
এদিকে, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির তোড়জোড় শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তা ১০ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এদিনই শিলিগুড়ি গার্লস হাইস্কুলে প্রথম পর্যায়ে ছাত্রী ভর্তি শেষ হয়েছে।
কোচবিহারের জেনকিন্স স্কুলে একাদশ শ্রেণির ফরম বিলি শুরু হয়েছে। তা ১০ তারিখ পর্যন্ত চলবে। ১৩ মে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। ১৪-১৯ মে চলবে একাদশে ভর্তি প্রক্রিয়া। রামভোলা হাইস্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তা ১৫ মে পর্যন্ত চলবে।
এদিকে, এবার উচ্চ মাধ্যমিকে জেলার সেরা জলপাইগুড়ির সোনাউল্লা বয়েজ হাইস্কুল থেকে। এই স্কুলের একাদশে ভর্তির আগ্রহ বাড়বে বলেই শিক্ষকররা আশাবাদী। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অনির্বাণ সেন বলেন, স্কুলের মাধ্যমিক পাশ ছাত্রদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। অন্যান্য স্কুলের ছাত্রদের ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট মার্কস রয়েছে। জলপাইগুড়ির সুনীতিবালা সদর গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুতপা দাস বলেন, বাইরের স্কুলের ছাত্রীদের মধ্যে যারা বিজ্ঞান বিভাগে ৮০ শতাংশ ও মোট ৮০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে, তারা আগ্রহী থাকলে সরাসরি বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাবে। কলা বিভাগের ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ নম্বর লাগবে। মার্কশিট পাওয়ার পর উচ্ছ্বাস। জলপাইগুড়ি মানিকগঞ্জ হাইস্কুলে পিনাকী শীলের তোলা ছবি।