• বেড়ার ঘরে কাপড় টাঙিয়ে দু’টি রুম, উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৬২ নম্বর জিতের
    বর্তমান | ০৯ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: দারিদ্রকে হার মানিয়ে নজরকাড়া সাফল্য মাথাভাঙা-২ ব্লকের লতাপোঁতা গ্রাম পঞ্চায়েতের গুমানিহাট হাইস্কুলের ছাত্র জিৎ বর্মনের। লতাপোঁত গ্রামের বাসিন্দা তিনি। জিতের বাবা ক্ষুদ্র চাষি। সংসার সামলাতে দিনমজুরিও করতে হয় তাঁকে। এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৬২ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন জিৎ। ভবিষ্যতে আইন নিয়ে পড়ার ইচ্ছে তাঁর। কিন্তু উচ্চশিক্ষায় অন্তরায় তাঁর আর্থিক সমস্যা। মেধাবী এই পড়ুয়ার সাফল্যে খুশি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা সহ আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা। 

    জিৎ বর্মনের বাবা অখিল বর্মন পেশায় একজন কৃষক। অল্প জমিতে চাষ করা সহ অন্যের জমিতে শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালান। একটি মাত্র টিনের ঘর, বাঁশের বেড়া দেওয়া। সেই ঘরেই কাপড় টাঙিয়ে করা হয়েছে দু’টি রুম। এক ছেলে এক মেয়ে অখিলবাবুর। মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে। জিৎ বাংলায় ৯২, ইংরেজিতে ৮৪, ভূগোলে ৯৬, ইতিহাসে ৯৪, এডুকেশন ৯৬ নম্বর পেয়েছেন। 

    জিৎ বলেন, দু’জন গৃহশিক্ষকের কাছে পড়েছি। বাকি বিষয়গুলি স্কুলের শিক্ষকদের সহায়তা নিয়েই পড়েছি। তাঁরা যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। আইন নিয়ে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে। জিতের মা হিরণ বর্মন গৃহবধূ। তিনি বলেন, ছেলের সাফল্যে খুশি হলেও ওর আগামী দিনে উচ্চশিক্ষা নিতে গেলে যে অর্থের প্রয়োজন তা কীভাবে জোগাড় হবে বুঝে পাচ্ছি না। 

    গুমানিহাট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক গোবিন্দ সরকার বলেন, জিৎ বরাবর ভালো ছাত্র। আমরা নিজেরাও ওকে পড়াশোনায় সহযোগিতা করেছি। ছেলেটি মেধাবী। আগামী দিনেও পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি। ছেলেটি গৃহশিক্ষকের কাছে পড়লে আরও ভালো ফলাফল করতে পারত। ওর ভালো ফলাফলে আমরা খুশি। আশা করব, ছেলেটি ওর লক্ষ্যে পৌঁছবে। 

     নিজস্ব চিত্র। 
  • Link to this news (বর্তমান)