নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: বৃহস্পতিবার সাতসকালে এক পুলিস কর্মীর বাড়িতে সিবিআই হানা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়ি শহরে। এদিন সকাল আটটা নাগাদ শহরের রেসকোর্স পাড়ায় সরকারি আবাসনে আচমকা সিবিআই হানা দেয়। ওই আবাসনের চারদিক ঘিরে ফেলে সিআইএসএফ জওয়ানরা। এ খবর চাউর হতেই আলোড়ন ছড়ায় পুলিস মহলে।
দীপঙ্কর দাস নামে ওই পুলিস কর্মী কনস্টেবল পদে জেলা পুলিস লাইনে কর্মরত। তাঁর বাবা প্রাক্তন পুলিস কর্মী। দীর্ঘক্ষণ ধরে সিবিআইয়ের চার আধিকারিক ওই পুলিস কর্মীর বাড়িতে তল্লাশি চালান। কোন মামলায় আচমকা একজন পুলিস কর্মীর বাড়িতে সিবিআই হানা হল, তা নিয়ে তুঙ্গে ওঠে জল্পনা। তল্লাশি চালিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সিবিআই আধিকারিকদের হাতে কিছু নথিপত্র দেখা যায়। এতেই পুলিস কর্মীর বাড়িতে সিবিআই হানার কারণ নিয়ে আরও তুঙ্গে ওঠে চর্চা।
এনিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা মুখ খুলতে না চাইলেও পরে জলপাইগুড়ি জেলার পুলিস সুপার খণ্ডবাহালে উমেশ গণপত বলেন, যে পুলিস কর্মীর বাড়িতে এদিন সিবিআই হানা দেয়, তিনি এর আগে কোচবিহারে পোস্টিং ছিলেন। সেসময় তিনি কলকাতা হাইকোর্ট থেকে বিভিন্ন মামলার কেস ডকেট নিয়ে আসার কাজ করতেন। ২০১৬ সালে তিনি বেশ কয়েকটি মামলার কেস ডকেট কলকাতা হাইকোর্ট থেকে নিয়ে এসেছিলেন। এর মধ্যে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার একটি এনডিপিএস মামলার কেস ডকেট হারিয়ে যায়। ওই ঘটনায় ২০২৩ সালে হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। তারই তদন্তে এদিন সিবিআই ওই পুলিস কর্মীর বাড়িতে তদন্তে আসে। তবে তল্লাশি চালিয়ে তাঁর বাড়ি থেকে প্রাসঙ্গিক কোনও নথিপত্র না পেয়ে তারা ফিরে যায়।
এদিকে, যে পুলিস কর্মীর বাড়িতে এদিন সিবিআই হানা দেয়, তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তাঁর মা রানু দাস বলেন, সিবিআই আমাদের বাড়িতে কেন হানা দিল জানি না। আমি অসুস্থ। সিবিআই আধিকারিকরা সাধারণ কিছু কথাবার্তা বললেন। তারপর তাঁরা চলে যান। নিজস্ব চিত্র।