• ফাটল পাইপলাইন, দু’দিন ধরে নির্জলা থাকবে বাঁকুড়া
    বর্তমান | ০৯ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: পানীয় জল প্রকল্পের পাইপ ফেটে যাওয়ায় দু’দিন ধরে বাঁকুড়া শহর নির্জলা থাকবে। বৃহস্পতিবার শহরের বাসিন্দারা আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল পাননি। আজ, শুক্রবারও জল সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিষয়টি বাঁকুড়া পুরসভার তরফে মাইকিং করে শহরবাসীকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কি না, তাও কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। ফলে বাঁকুড়া শহরের বাসিন্দারা কবে পরিস্রুত পানীয় জল পাবেন, তা নিয়ে অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে। যদিও পুরসভার তরফে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ হচ্ছে। পানীয় জলের জন্য শহরবাসীকে বেশিদিন হাপিত্যেশ করে অপেক্ষা করতে হবে না বলে পুরকর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে। দ্রুত সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে আধিকারিকরা আশ্বাস দিয়েছেন।  

    বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অলকা সেনমজুমদার বলেন, শহর সংলগ্ন কেশিয়াকোল এলাকায় পাইপ ফেটে যাওয়ার কারণে শহরে জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। সমস্যার সমাধানের জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে মেরামতের কাজ চলছে। শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাঁকুড়া শহরের বাসিন্দা রমলা সরকার, বিধান চক্রবর্তী বলেন, আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলের জন্য আমরা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের বড়জোড়া প্রকল্পের উপর নির্ভর করি। ওই প্রকল্পের জল পুরসভা শহরে সরবরাহ করে থাকে। এদিন আমরা জল পাইনি। কবে জল পাব, তা জানা নেই। পুরসভার তরফে দু’দিন পর পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও এবার পাইপে বড়সড় ফাটল দেখা দিয়েছে বলেই শুনেছি। ফলে জল পাওয়া নিয়ে আনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। 

    পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, শহরের সতীঘাট সংলগ্ন কেশিয়াকোল এলাকায় গন্ধেশ্বরী নদীর পাড়ে আমাদের পাম্পিং স্টেশন রয়েছে। ওই এলাকার কাছেই পাইপ ফেটে গিয়েছে। জলের চাপে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। জল চালু রেখে পাইপের ফাটল মেরামত করা সম্ভব নয়। সংশ্লিষ্ট জায়গায় আরও কিছু কাজ রয়েছে। তা শেষ করতে অন্তত দু’দিন লাগবে। সেই কারণে মাইকিং করে বিষয়টি বাসিন্দাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

    জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া জেলায় জল সরবরাহ করার জন্য প্রতিদিন দুর্গাপুর ব্যারেজ তথা বড়জোড়া প্রকল্প এলাকায় ১৬ ঘণ্টা পাম্প চালাতে হয়। সেখান থেকে দৈনিক ৬ কোটি ৫০ লক্ষ লিটার জল সরবরাহ করা হয়। তারমধ্যে শুধুমাত্র বাঁকুড়া শহরের জন্য ১ কোটি ২০ লক্ষ লিটার জল পাঠানো হয়। ওই প্রকল্পের জলের ভরসায় শহর এবং লাগোয়া বাঁকুড়া-১ ও ২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ থাকেন। ফলে পিএইচই-র জল না পেলে বাঁকুড়াবাসীকে যথেষ্ট ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিশেষ করে গরমে সমস্যা আরও প্রকট হয়। ফলে অবিলম্বে পাইপ মেরামত করে পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবি উঠেছে।   বাঁকুড়ার কেশিয়াকোলে পানীয় জলের পাইপ লাইন মেরামতের কাজ চলছে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)